বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কিশোর কিশোরীর ভূমিকা

আসসালামু আলাইকুম আজকের আলোচ্য বিষয় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কিশোর কিশোরীদের ভূমিকা আমাদের সমাজে বাল্যবিবাহ হয়ে থাকে এগুলোকে ঠেকানোর জন্য আসলে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে কিশোর কিশোরীদের কি কি পদক্ষেপ নিতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আপনাদেরকে জানাবো আর সেই জন্য আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি করতে হবে পড়লেই সবকিছু জানতে পারবেন।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কিশোর কিশোরীর ভূমিকা
বাল্য বিবাহ আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত কারণ অল্প বয়সে ছেলে-মেয়ে বিয়ে দিয়ে দেয় কারণ গ্রামের মানুষ বেশিরভাগ অশিক্ষিত তারা এত কিছু বোঝেনা তারা ভাবে যে অল্প বয়সে বিয়ে দিলে এবং আমাদের গ্রামের মানুষ বোঝে না যে অল্প বয়সে ছেলে মেয়ের বিয়ে দিলে তাদের মানসিক সমস্যা হতে পারে সেটা তারা বুঝে না সেজন্য কে নারীদের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে আর এই জন্য কিশোর কিশোরীদের ভূমিকা রয়েছে তারাই পারে সমাজকে পরিবর্তন করতে।

ভূমিকা

আমাদের দেশের উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে অল্প বয়সে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায় এবং তারা বুঝে না যে অল্প বয়সে বিয়ে হলে ছেলে মেয়েদের জীবনে অনেক সুখী থাকে তাদের মানসিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে যায় কারণ অল্প বয়সে বিয়ে হলে তাদের আবহাওয়ার কারণে সন্তান ধারণ ক্ষমতাটা পাই কিন্তু তারা মানসিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।
কারণ তার বয়সের তুলনায় তার সন্তানদের দেখাশোনা করাও তার জীবনে ঝুঁকি হয়ে যায় সে নিজে একটা বাচ্চা অন্য বাচ্চার যত্ন নিবে কিভাবে সেটা তার মানসিক প্রভাব বলে এবং অনেক মেয়ে আছে যারা অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে তাদের শরীর নষ্ট হয়ে যায় এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার একটি মাত্র কারণ হচ্ছে বয়সে তুলনায় মানসিক চাপটা বেশি পড়ে যখন সে বিয়ে হয় তার কিন্তু সংসারের দায়িত্ব তার কাঁধে পড়ে যায় ।
সে কিন্তু কোনটা ভালো কোনটা খারাপ এটা বিচার করতে পারে না আর এই জন্য এই সমস্যাগুলোর বেশি সম্মুখীন হয়ে থাকে তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে এমনকি গ্রামের মানুষকে সচেতন হতে হবে যাতে গ্রামের মধ্যে এ বাল্যবিবাহ না হয় এবং কিশোর কিশোরীদেরকে এর প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে হবে এই ব্যবস্থাটাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে তাহলে একটা মেয়ে বা ছেলেদের জীবনে এ অশান্তি নামক জীবন থেকে মুক্তি পাবে

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কিশোর কিশোরীর ভূমিকা


ভালো বিবাহ ঠেকাতে কিশোর কিশোরদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে কারণ আজকের কিশোর-কিশরের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাদেরকেই রুখে দাঁড়াতে হবে সমাজে দেখতে হবে যে কে কোথায় কোন অন্যায়টা সাথে জড়িত রয়েছে এবং সমাজে যাতে এরকম না হয় এবং একটা ভালো বিবাহ একটা মেয়ে বা ছেলের জীবনে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়।
 তার একটিমাত্র কারণ অল্প বয়সে বিয়ে হওয়া কারণ একটা ছেলে বা মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে হলে তাদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং তাদের জীবনে একটা অশান্তির সৃষ্টি হয় কারণ তারা বুঝে না সংসার জীবনটা কি আর সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে বিশেষ করে কিশোর কিশোরীদের কে এর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে তাহলে রুখে দাঁড়াতে হবে।
 এবং এদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে যাতে এরকম অপকর্ম সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে ব্যবস্থা করতে হবে একজন কে শাস্তি দিলে অন্যজন ভয় পাবে আর সেজন্য নিজের হাতে কেউ আইন যাতে নাচ তুলে নেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে তাহলে এত সুন্দর সমাজ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে।

বাল্যবিবাহের কারণ

বাল্য বিবাহের কারণ সবচেয়ে বড় দায়ী সমাজের কারণ অল্প বয়সে ছেলে মেয়ের যখন বড় হয় তখন তাদের খুব দ্রুত বিয়ে দেওয়া হয় তারা বোঝে না যে অল্প বয়সে বিয়ে দিলে তাদের সংসারে অশান্তি লেগে থাকবে এবং তারা একে অপরের সহ্য করতে পারবেন না আর সেজন্য অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া ঠিক না এটা আদিম যুগ থেকে চলে আসছে ।
কারণ আগের মানুষ অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যেত আর এই কারণে তাদের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়তো অল্প বয়সে বিয়ে হলে তাদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় অল্প বয়সে তালাক হয়ে যায় এবং তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ভালো বিবাহ হলে সমাজে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
বাল্যবিবাহের প্রতিকার
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ১৮ বছরের আগে কোন মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না এবং ২১ বছরের আগে কোন ছেলের বিয়ে দেওয়া যাবে না কারণ বিয়ের পরে তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় আর সে সকল সমস্যা যাতে না হয় সে বিষয়গুলো সবার লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সমাজের মানুষকে বোঝাতে হবে যাতে ঘরে ঘরে প্রতিরোধ করে তুলতে পারে।
 এবং একটা পরিবার তার সকল সমস্যা দূর করার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে যদি না তোলা হয় তাহলে সমাজ ব্যবস্থা দিন দিন নষ্ট হয়ে যাবে আর একটা সমাজ গঠন করতে অনেক সময় লেগে যায় এবং সে সমাজে যদি মানুষ এই সমস্যা দূর করার জন্য সবাইকে সচেতনতার হাতে গড়ে তুলতে হবে না হলে সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে স্লোগান

ঘরে ঘরে প্রচলিত করে তুলতে হবে কারণ একটা পরিবারের যদি অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে হয় তাহলে সেই মেয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় এবং তার শ্বশুরবাড়িতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে আর সে সকল সমস্যা দূর করার জন্য আপনাদের সচেতনতা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে তাছাড়া সমাজ জীবন সুন্দরভাবে উপরে তুলতে পারবেন না ।
তাই ঘরে ঘরে প্রতিরোধের গড়ে তুলতে হবে একটা সমাজ গঠনের জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয় আর এ সমাজ যদি ভেঙ্গে পড়ে তাহলে সমাজের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে আর সেজন্য ভালোভাবে প্রতিরোধ করতে কিশোর কিশোরীকে ভূমিকা অনেক তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাদের সাথে মিলে এ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং আঠারো বছর বয়সের আগে কোন মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না ২১ বছর আগে কোন ছেলের বিয়ে দেওয়া যাবে না তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

বাল্যবিবাহের ফলে মানসিক সমস্যা

বাল্য বিবাহ সমাজের একটি মরণ ব্যাধি রোগ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে অল্প বয়সে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়ে তাদের স্বাধীনতা কেড়ে না হয় একটা মেয়ে জীবনেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা গড়ে তোলে কারণ অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হলে তাদের শারীরিক মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় তাদের যথেষ্ট শ্বশুরবাড়িতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হয়ে থাকে কিন্তু এরা ভয়ে বলতে পারে না কারণ তার শ্বশুরবাড়িতে যদি এরকম ধরনের সমস্যা হয় সেই জন্য সে মুখ খুলে না অনেক কষ্ট করে তার সংসারটাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে কিন্তু লাস্ট পর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে পারে না। 

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রতিবেদন

বাল্যবিবাহ ঘরে ঘরে প্রতিবাদে গড়ে তুলতে হবে সবাইকে সমাজের সমান অধিকার দিতে হবে একটা আগের কুসংস্কার যাতে না হয় সে সকল বিষয় রাখতে হবে কারণ এ প্রতিরোধ যদি ঘরে না হয় তাহলে দিনের পর দিন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হবে তাই সকলকে সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে এবং সুন্দরভাবে সমাজ গড়ে তুলতে হবে সমাজের ১৮ বছরের আগে কোন ছেলে অথবা মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনোমূলক ব্যবস্থা করতে হবে এবং তাদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে দিতে হবে যাতে এরকম সমস্যাগুলো সৃষ্টি করতে না পারে।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন

বাল্য বিবাহ আইন ১৯২৯সালে আইন পাস করতে হবে এ আইনে বলা হয়েছে যে ১৮ বছর আগে কোন মেয়ের বিয়ে দেওয়া হবে না এবং ২১ বছরের কোন ছেলের বিয়ে দেওয়া হবে না দিলে অপরাধ তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে কারণ যদি শাস্তির ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে দিনের পর দিন অন্যায় শুরু করবে আর সে সকল অন্যায় সহ্য করুন নিয়ে থাকতে হবে আর সেজন্যই ঘরে ঘরে প্রতিরোধ করে তুলতে হবে সমাজে মানুষের যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সেই সকল দিকে খেয়াল রাখতে হবে তাছাড়া সমাজ সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যাবে না আর সমাজের মানুষকে সচেতন হয় তবে সবাইকে শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে না হলে সমাজ ধ্বংসের দিকে চলে যাবে

বাল্যবিবাহের সমস্যা

বাল্যবিবাহ একটি বড় ধরনের সমস্যা কারণ বাল্য বিবাহের কারণে সমাজে মানুষের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সময় ধ্বংসের দিকে যায় এবং যখন তাদের বয়স বাড়ে তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় এবং শারীরিক মানসিকভাবে নির্যাতন করে শ্বশুর বাড়ির লোক তাদের দেখতে পারে না এবং তাদেরকে বিভিন্ন কষ্ট দেয় তখন যথেষ্ট পরিমাণে জ্ঞান থাকে না তখন তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে ।
এবং অল্প বয়সে তাদের সন্তান নেওয়ার জন্য বলা হয় যখন সে গর্ব ধারণ করে তখন তার জীবনে বড় ধরনের ঝুঁকি বয়ে আনে কারণ অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে তার শরীর নষ্ট হয়ে যায় এবং সে মেয়েটা মৃত্যুর দিকে যেতে পারে।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়

ভালো বিবাহ প্রতিরোধ করা খুবই জরুরী বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ না করলে সমাজ মানুষের জীবনের ঝুঁকি বয়ে আনবে বাল্যবিবাহ রোধে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে না হলে সমাজকে এই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তাই ঘরে নারীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে না হলে সমাজ গঠন অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবে তার সমাজকে বদলাতে হবে।
 সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে নারীদেরকে শিক্ষা দিতে হবে এবং নারীরা যাতে নিজেদের অধিকার ফিরে পায় সেই সকল ব্যবস্থা করে দিতে হবে আর এই জন্য সমাজকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে নারী সমাজের বাল্যবিবাহ কে প্রতিরোধ করতে হবে এর জন্য কিশোর-কিশোরের ভূমিকা খুবই প্রয়োজনীয়

লেখকের মন্তব্য

আসসালামু আলাইকুম আমি তাসফিয়ারানী আজকে আপনাদেরকে ভালো বিবাহ প্রতিরোধে কিশোর কিশোরীদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেছি আমার আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবাইকে জানাবেন আর আমার ওয়েবসাইটে নতুন নতুন পোস্ট আপলোড করা হয়ে থাকে আর সেজন্য আপনাকে ভিজিট করার অনুরোধ রইলো।












এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url