আম্রপালি আম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন?

আসসালাম আলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন আজকে আপনাদের সাথে আলোচনার বিষয় হচ্ছে আমরুপালি আম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে এ সকল বিষয় বলে নিয়ে আপনার হয়তো ইন্টারনেটে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি তাই আজকে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব আর এই জন্য আমার সাথেই থাকুন।

আমের মধ্যে সবচেয়ে সেরা আম হচ্ছে আম রূপালী এটা খেতেও যেমন মধুর তেমন দেখতে অনেক সুন্দর এটাকে রামের রাজা বলা হয় এ আম ভারতের সর্বপ্রথম চাষ করা হয় এবং ভারতের এক গণিকার নাম অনুসারে নাম রাখা হয় এই আমরুপালের বিভিন্ন জাতের এটার মধুর মত মিষ্টি সব আম থেকে আলাদা হয়ে থাকে।

আমরুপালি আম গাছ সবচেয়ে ভালো হয় সমতল ভূমিতে যেখানে পানি জমে না যদি পানি জমে সে জাগাতে গাছ চারা ভালো হয় না কারণ স্যাঁতশেতে জাগাতে আম গাছ ভালো হয় না আম গাছ আম গাছ দিলে ১০ মাটিতে ভালো হয় বা যদি টবে লাগান সেখানে কিন্তু আম গাছে চাষ ভালো হয়ে থাকে। সবচেয়ে ভালো গাছ হচ্ছে আমরুপালি গাছ ।

এই আম যেমন ধরে ঠিক তেমনি পাকলে সে মধুর মতো মিষ্টি হয়ে থাকে। একে আমের রাজা বলা হয়ে থাকে সর্বপ্রথম এই আম চাষ করা হয় ভারতে সেখান থেকেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এই আম গাছ লাগানোর প্রতি সবার চাহিদা বেশি কারণ বাজারে এর দামও বেশি হয়ে থাকে। এতে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি পাই।

আমরুপালি চাষ ভালো হয় বেলেদোয়াশ মাটিতে বা সমতল ভূমিতে যার আয়তকার বা সরভোজী পদ্ধতি চারা রোপন করা হয় এছাড়া যত রকম করা হয় গর্ত সে তৈরি করার পরে ১০ দিন পর পর চারার গোড়ায় মাটির গলফ সহ গর্তের ঠিক মাঝখানে সারাটি রোপন করতে হবে এবং ১০ থেকে ১২ মিটার পর পর চারা লাগাতে হবে চারা লাগানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে।

 যে যে চারাটি লাগানো হচ্ছে সেটা কিন্তু পলির মধ্যে থাকে লাগানোর সময় পলিব্যাগটি খুলে দিতে হবে সারাটা বের করে দিতে হবে যাতে খুব দ্রুত গাছটি বড় হতে পারে লাগানোর ঠিক ১০ দিন পর সে জায়গাতে সার প্রয়োগ করতে হবে যাতে গাছটি দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে এবং ডালপাড়া ছাড়তে পারে।

আম গাছ লাগানোর সবচেয়ে ভালো পরিবেশ লাগে কারণ এই গাছ যদি স্যাঁতে মাটিতে লাগানো হয় তাহলে গাছটি মারা যায় গাছ লাগানোর সময় এমন জায়গাতে লাগাতে হবে যে কাজটি দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে এবং গাছ লাগালে ভালো গাছ লাগাতে হবে যাতে ফসল ভালো হয় গাছ লাগানোর মুখ্যম সময় গ্রীষ্মমন্ডলীয় সময়ে এই সময় গাছের চারা তৈরি করা হয় সেখান থেকে আপনি নিয়ে এসে গাছটিকে যদি লাগিয়ে দেন তাহলে গাছটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

আমগাছ সবচেয়ে ভালো হয় বেড়ে দোয়ার মাটিতে যে মাটিতে কোন সময় পানি জমে থাকবে না যদি পানে জমে থাকে তাহলে সেই মাটিতে আর আমগাছ মরে যাই। আম গাছ লাগানোর সময় উঁচু বা মাঝারি জমি নির্বাচন করতে হবে এবং জায়গাটি যেন সমতলভাবে থাকে কোথাও উঁচু কোথাও নিচু এরকম জানে না থাকে একবারে সমানভাবে রাখতে হবে ।

এবং সে মাটিতে যাতে আগাছা জন্মাতে না পারে কারণ যদি আগাছা জন্মে যায় তাহলে সে মাটিতে কোনভাবে ভালো ফসল চাষ করা সম্ভব নয় সেজন্য যখন কোন গাছ লাগাবেন তার আগে একটা কথা মনে রাখবেন গাছটি ভালো পরিবেশে ভালো মাটিতে যাতে লাগায় তাহলে আপনার ফসলটি ভালো হবে এবং খুব দ্রুত গাছটি বৃদ্ধি পাবে।

আম গাছে সার প্রয়োগের সময় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে যেমন গাছ তাকে সেরকম সার প্রয়োগ করতে হবে যেমন ধরেন একটি পূর্ণবয়স্ক গাছ বা সেই গাছে আপনার ফসল উৎপাদন হচ্ছে তাকে সেরকম স্বাদ দিতে হবে আর যে গাছ চারা রোপনের পরে বৃদ্ধি পেয়েছে তাকে সেরকম সার প্রয়োগ করতে হবে যেমন একটি পূর্ণবয়স্ক আম গাছের জন্য আপনি।

 স্যার ৪৫ কেজি জৈব সার দিতে পারেন ২ কেজি ইউরিয়া ৫০০ গ্রাম টিএসপি আড়াইশো গ্রাম এমপি ৫০০ গ্রাম জিপসাম ২৫ গ্রাম সালফেট প্রয়োগ করতে হবে। এগুলো সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি তিনবারে প্রয়োগ করেন প্রথমবার আপনি জ্যৈষ্ঠ থেকে আষাঢ় মাস দ্বিতীয়ত ভাদ্র থেকে আশ্বিন এবং তৃতীয় বার কার্তিক মাসের শেষের দিকে এ সময় আপনি সার প্রয়োগ করবেন আপনার গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং আশ্বিন মাসের শেষ দিকে এই গাছের মুকুল চলে আসবে।

আপনি একটা আম গাছ লাগাবেন যখন তখন ৮ থেকে ১০ মিটার দ্রুত লাগাতে হবে যাতে এ গাছটি খুব সহজে বড় হয় এবং আপনি যখন গাছ লাগাবেন তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে যে জায়গাতেই কাজটি লাগাবো সেই জায়গা যেন সমতল ভূমি হয় কোন আগাছা না থাকে যদি থাকে তাহলে সেই গাছটি হবে না গাছ লাগানোর সবচেয়ে মুক্ষম সময় হলো ভাদ্র থেকে আসেন মাস এই মাসে গাছ লাগালে গাছটি মরে না গাছটি ভালো হয় ভালো হয়।

আপনি যখন আম গাছে লাগাবেন তখন খেয়াল রাখবেন গাছ লাগানোর আগে মাটিটাকে মই দিয়ে সমান ভাবে করে দিতে হবে যাতে কোথাও উঁচু কোথাও নিচু না থাকে যদি কোথাও নিচু থাকে তাহলে গাছ লাগানোর সময় বা পরে গাছ থেকে পানি জমে মরে যাবে। এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে যাতে গাছটি পানির না জমে এবং সেখানে কোন আগাছা না থাকে।

 যদি আগাছা থাকে তাহলে আগাছাড়া পরিষ্কার করে দিতে হবে আর যদি না দেয়া হয় তাহলে গাছটাকে আগাছা আক্রমণ করে মেরে ফেলবে তাই সচেতনতার সাথে গাছ লাগানোর আগে পরিবেশ ভালো দেখে এই গাধা গাজা লাগাতে হবে আর একটা কথা মনে রাখতে হবে গাছটি শাড়ি ভাবে লাগাতে হবে এবং এর ফাঁকা রাখতে হবে ৮ থেকে ১০ মিটার যাতে তাদের ডালপালাগুলো এক গাছের সাথে আরেক গাছে না যায় আপনাকে গাছটি লাগাতে হবে।

আম গাছে সার প্রয়োগ করার সময় ২০ কেজি ইউরিয়া সার টেস্টি ৬০০ গ্রাম ইউরিয়া ১ কেজি এমপি ৪০০ গ্রাম জিপশান ৫০০ গ্রাম সালফেট ৬০ গ্রাম এগুলো একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং গাছের একটু দূর করে গর্ত করে সে সারগুলো দিতে হবে যাতে গাছের মূল শিকড়ের না পরে যদি মূল শিকরে পড়ে তাহলে গাছ জ্বলে যাবে আর সেজন্য সার প্রয়োগ করার সময় দূর করে গর্ত করে দিতে হবে যাতে সেই সারের অ্যাকশনটা অল্প অল্প করে গাছের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারে এবং এভাবে সার দিলে গাছটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ডালপালা ছেড়ে দেবে।

 জ্যৈষ্ঠ থেকে আষাঢ় মাস লাগানোর মুখ্যময় যাতে অতিরিক্ত বসানো হয় এবং বৃষ্টির মধ্যে গাছে লাগালে গাছটি সহজে লেগে যাবে।

চারা রোপনের দূরত্বঃ আপনি যখন আম গাছের চারা রোপন করবেন তখন তার দ্রুত রাখবেন ৮ থেকে ১০ মিটার এই রকম ফাঁকা যদি না রাখেন তাহলে আপনার রাত বৃদ্ধি পাবে না এক গাছের সাথে আরেক গাছ ডালপালা চলে যাবে তখন গাছটি ছোট হয়ে যাবে।

আগাছাঃ আপনি যখন গাছ লাগাবেন তখন আপনার জমিতে যাতে আগাছা না হয় তাহলে আপনার সেই গাছটির উপর আক্রমণ করে গাছটিকে মেরে ফেলবে আর সেজন্য আপনাকে গাছটি লাগানোর আগে জায়গাটি পরিষ্কার করতে হবে।

গর্তের আকারঃ গাছটি লাগানোর সময় তিন সেন্টিমিটার নিচে গর্ত রাখতে হবে যাতে গাছ কোন বাতাস বা বৃষ্টির কারণে পড়ে না যায় সেদিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।

আসসালামু আলাইকুম আমি তাসফিয়ারানী আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি আমরুপালি আম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে যদি পড়ে আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজন সবাইকে জানাবেন। গাছ লাগানো সম্পর্কে আমার ওয়েবসাইটে নতুন নতুন পোস্ট আপলোড হয়ে থাকে আপনাদের সকলকে আমারও বিষয়টি ভিজিট করার জন্য অনুরোধ রইল।