পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ২০টি বাক্য ১৫টি কবিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন?
আসসালামু আলাইকুম আজকের আলোচ্য বিষয় পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে এ সকল বিষয় নিয়ে আপনারা হয়তো ইন্টারনেটে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন কিন্তু সঠিক তথ্য পান না সে সকল বিষয় বলে নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব সেজন্য আমার সাথেই থাকুন।
পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন তথা বাংলা নববর্ষ দিন চির দিনটা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নববর্ষ হিসেবে বিশেষ হিসাবে সাথে পালিত হয় বাংলাদেশের উৎসবের অংশ নিয়ে থাকে সে হিসেবে বাঙালি এটি একটি সর্বজনীন লোকো উৎসব হিসেবে বিবেচিত হয় বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে ১৪ ই এপ্রিল সারা বিশ্বে পহেলা বৈশাখ পালিত হয় এছাড়া এই দিনটা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পালিত হয়ে থাকে
ভূমিকা
১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ এটা সারা বিশ্বে যারা বাঙালি রয়েছে তারা এই দিনটাকে অনেক উপভোগ করে এবং পুরা মাস ব্যাপী আয়োজন করা হয়ে থাকে এই পহেলা বৈশাখ বাঙালি জীবনে একটি অন্যতম দিন এই দিনে বাঙালি নির্বিশেষে সকলে একসঙ্গে খেতে শ্রেষ্ঠ বাংলা নববর্ষ এটি বাংলাদেশের সর্বজনীন লোকশিল্প হিসেবে বিবেচিত ১৪ই এপ্রিল ও ১৫ এপ্রিল এই দিনটিকে উদযাপিত করা হয়ে থাকে।
পহেলা বৈশাখ দিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এই দিন বাঙালি একটি আনন্দমুখর দিন সেখানে তারা বিভিন্ন ধরনের আয়োজন এর করে থাকে যেটা মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এ দিন বাঙ্গালীদের উৎসবমুখর দিন হিসেবে বিবেচনা করে তাদের ঘরে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বৈশাখ সম্পর্কে ২০টি বাক্য ১৫টি কবিতা
পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ২০ বাক্য নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- পহেলা বৈশাখ একটি জনপ্রিয় উৎসব।
- বাংলাদেশের প্রথম যে নাটক বৈশাখ মাসের প্রথম তারিখে বৈশাখ পালন করা হয়।
- এটি প্রতিবছরই ১৪ই এপ্রিল পালিত হয়।
- দিন হালখাতা অনুষ্ঠানে উদযাপন করা হয় এই দিন সকল পেশাদার মানুষের প্রক্রিয়া পরিশোধ করে ও মারা যান তাদের মিষ্টিমুখ করিয়ে নতুন বছর শুরু করে।
- এটি বাংলা নববর্ষ নামে পরিচি।।
- এই দিনটিতে মানুষ নতুন পোশাক পরে।
- পহেলা বৈশাখে সকল মানব ধর্মঘন নির্বিশেষে একসাথে পহেলা বৈশাখ পালন করে।
- এটি বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন।
- পহেলা বৈশাখের প্রধান আকর্ষণ হল বাউল শিল্পীদের গান।
- বন্ধুদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে।
- পহেলা বৈশাখের দিনে সকালবেলা খাবার থেকে পান্তা ইলিশ।
- একে অপরের শুভেচ্ছা জানাই।
- পহেলা বৈশাখের এই দিনে প্রত্যেকটি পরিবারে তাদের সমর্থ্য অনুযায়ী ভালো খাবার রান্না করে।
- তারা সুস্বাদু খাবার উপভোগ করে।
- পহেলা বৈশাখ পালনের প্রচলন শুরু হয় সম্রাট আকবর শাসনের আমল থেকে।
- তারা মহা আনন্দের দিনটি উদযাপন করে।
- পহেলা বৈশাখ দিনটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রামে গঞ্জে মেলা অনুষ্ঠিত হয় এ মেলা পুতুল নাস সার্কাস নাগরদোলা স্থান পায় কোথাও কোথাও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
- এ সময় বৈশাখী মেলা বসে।
- পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয় শুভযাত্রা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকে।
পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১৫টি কবিতা
পহেলা বৈশাখ পুরনো বছরকে ভুলে নতুন বছর স্বাগতম জানিয়ে সবকিছু নতুনভাবে শুরু করে দিনটাকে উপভোগ করতে হবে এবং তাদের সকল বিষয় বলি মানুষের মধ্যে নাড়া দেবে তাদের যত সুখ দুঃখ সব কিছু মিলে একাকার হয়ে যাবে। তারা এই দিনটিকে উৎসব মুখর দিন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
শুভ নববর্ষের কবিতা
সকল জীর্ণতা দীর্ণ করে
তুমি এসো হে বৈশাখ
এসো উত্তপ্ত বদ্বীপে
সবুজ পল্লবে।
নবরুপে এসো
স্বপ্ন-সম্ভবনা বুকে নিয়ে
এসো বারবার
মুছে দাও ব্যথার।
যত গ্লানি জীবনের ভার
চৈত্রের বিষন্ন রাত্রি তার
দিয়ে গেল শেষ উপহার
প্রসন্ন নবীন।।
বৈশাখের ঝলমলো দিন।
পুরাতন গত হোক।
যৌবনিকা করি অন্য শোচন
তুমি এসো হে নবীন
এহে বৈশাখ নববর্ষ
এসব নতুন।
...............................................................
নববর্ষ এল আজি
দুর্যোগের ঘন অন্ধকারে,
আনেনি আসার বাণী
দেবে না সে করুন প্রশ্রয়া।।
প্রতিকূল ভাগ্য আসে
হিংসা বিভীষিকার আকারে।
তখনই সে অকল্যাণ
যখনই তাহারে করি ভয়।
যে জীবন বহি আছি
পূর্ণ মূল্য আজ হোক কেনা
দুর্দিনে নিবি বীর্যে
শোধ করি তার শেষ দেন।
.................................................................................
বাংলার বুকে বজ্রনিনাদ
আওয়াজ কাল বৈশাখে ।
নতুন উৎসব নতুন মেলা
মনের খুশি মেঘের খেলা।।
নতুন জামা নতুন শোবে
সাজবো সবাই খুশির রবে,
মন মেতেছে আনন্দেতে
মন চাইছে ঝাপ সড়কে যেতে।।
বাঙালির উৎসব বাঙালিরঘরে
খুশিতে থেকো সপরিবারে।
.........................................................
বাঙালি নববর্ষ এসেছে দ্বারে
উত্তাল হয় প্রাণ উত্তাল হয় মন।
তাই বারে বারে নববর্ষ এসেছে দ্বারে
বৈশাখ মাসে প্রথম দিন।।
সবে নতুন বছরের শুরু
মনটা নেচে ওঠে করে উরু উরু।
পরি ভোজ হবে সেদিন
আর হবে উৎসব।
চারিদিকে পড়ে যাবে খুশি খুশি রব।
নতুন বছর নতুন আশা নতুন করে বেঁচে থাকো
নিজের সাথে প্রিয়জনদের খুব ভালো রাখা ।
....................................................................................
হাজার কাজের মধ্য দিয়ে
শকেটে গেল গোটা বছর
নববর্ষের আহ্বান জানাতে
আর মাত্র একটি প্রহর।
গুনতে গুনতে সময়টাকে
লাল আভা দেখি পুবের কোনে
শঙ্খ ধ্বনিতে জাগলো পাড়া
নববর্ষের আহবানে।
স্মৃতি বললো ভুলো না আমায়
নতুন বছরের স্মৃতির টানে।
ইচ্ছে হলে ডেকে নিও
আছি তোমার মনের কোণে।
শুকনো পাতা ঝরে পড়েছে
ফুটেছে গাছে নব বন্দি
..........................................
ভালো থেকো ফুল
মিষ্টি বকুল ভালো থেকো,
ভালো থেকো ধান
পিয়ালী গান।।
ভালো থেকো।
ভালো থেকো মেঘ
মিটিমিটি তারা
ভালো থেকো।।
ভালো থেকো পাখি
সবুজ পাতারা,
ভালো থেকো
ভালো থেকো চর।
ছোট ছোট ঘর,
ভালো থেকো
ভালো থেকো চিল
আকাশের নীল,
ভালো থেকো,
ভালো থেকো পাতা।
নিশির শিশির
ভালো থেকো।।
ভালো থেকো জল
নদীর টির তীর,
ভালো থেকো
ভালো থেকো গাছ।।
পুকুরের মাছ
ভালো থেকো।।
ভালো থেকো কাক
ডাহুকের ডাক।।
.............................................
এলো এলো ছুটে এলোবৈশাখ মাস
চারিদিকে হইচই
মহা উল্লাস।।
মুছে যাক ঘুচে যাক
অতীতের গ্লানি
ভুলে যাক শত্রুতা
সব হানাহানি।।
হাতে হাত রেখে আজ
যাব সম্মুখে
জীবনের জয়গান
বাঙালির মুখে।।
অতীতের যন্ত্রণা
যাক বহু দূরে
আগামীর গান শুনি
স্বপ্নের সুরে।।
নতুন শপথ নিই
এই শুভকামনা
দেবনা আঘাত কোন
কারো মনে।।
.....................................................
বছর শেষে ঝরা পাতা
বলল ওরে সে,
একটি বছর পেরিয়ে গেল
হাওয়ার সাথে ভেসে।।
নতুন বছর আসছে
তাকে যত্ন করে রেখো,
স্বপ্নগুলো সত্যি করে
খুব ভালো থেকো।।
..........................................................
প্রিয়জনদের সাথে নতুন বছর কাটুক আনন্দে
হিসাব করতে যেওনা বন্ধু নষ্ট করো না সময় দ্বন্দ্বে
উপহার পেতে হবে। চেওনা এমন নববর্ষ,
একে অপরের পাশে থেকো, থাকুক সুখের স্পর্শ।।
তুলনা করে নিজের জীবন বৃথা কেন ভাবলে
অনেক কিছু তুমিও পেয়েছ সবাই কি তা পেয়েছে।।
................................................................................................
বর্ষ ওই গেল চলে
কত দোষ করেছি যে,
ক্ষমা করো এই অহকূলে
শুধু আপনারে লয়ে।।
চাহিনি তোমার পানে
ডাকিনি পিতা বলে,
অসীম তোমার দয়া
তুমি সদা আছো কাছে।।
অনিমেষ আখি তব
মুখ পানে চেয়ে আছে।।
সরিয়ে তোমার স্নেহ
পুলকে পড়িছে দেহ
প্রভু গো তোমারে।।
আরনা রহিব ভুলে,
বর্ষ ওই গেল চলে
........................................................
নতুন উৎসব নতুন মেলা
মনের খুশি মেঘের খেলা
নতুন জামা নতুন সবে
সাজবো সবাই খুশির রবে।।
মন মেতেছে আনন্দেতে
মন চাইছে ঝোপ ঝাড়কের যেতে,
বাঙ্গালির উৎসব বাঙালির ঘরে
খুশি থেকো সপরিবারে।।
.....................................................................
নতুন বছর এলো দ্বারে তাই খুশির অন্ত নাই
উৎসবের আমি যে মেতে থাকি মজা ভীষণ পাই,
নতুন বছর নতুন আশা করে বেঁচে থাকা
নিজের সাথে প্রিয়জনদের ভীষণ ভালো রাখা।।
নতুন বছর নতুনভাবে শুরু হোক পথে চলা
হাসিখুশি আনন্দে সবার কাটুক বেলা।
...........................................................................
নতুন বছর নতুন দিনসুস্থ থাকো আসুক সুদিন
স্বপ্নপূরক হোক সবার
আশায় ভরুক হৃদয় আমার।।
মিঠুক বিদেশ দ্রুত কমুক
আসুক জীবনে শুধুই সুখ।।
........................................................................
দামাল হাওয়া জান দেই বৈশাখ যে দ্বারেপিছনে ফিরে চেয়ে দেখি বসন্ত যায় চলে
আমের শখের গুটি দেখি কাঁঠাল বাগে ইচর
দামাল হাওয়া জানান পাপিয়া চাতক খেচর।।
চৈত্রের সেই কাঠফাটা রোদ চৌচির মাঠঘাট
চৈতালি শেষে বৈশাখ খেতেও বসে মেলা হাট,
হিমচাঁপা আর কৃষ্ণচূড়ায় নন্দিত দৃষ্টি
আসে প্রতিখানে বৃষ্টি।।
বৃক্ষরতা ক্রান্তি মেলে রাখাল বাজায় বাঁশি
বাউলেরা গান ধরে যে তপ্ত রোদেও হাসি,
নদীর বুকে জল যে কমে শুষ্ক হাওর বাওর
কখন যে ঝড় উঠে তায়ে যায় না করার ঠাওর।।
..........................................................................................
বৈশাখ মানেই বাঙালিওয়ালা
উৎসবের ঘনঘটা,
পুরনো হিসেব চুকিয়ে দেয়
নতুন হিসেবে খাতা।।
বৈশাখ মানে নতুন পোশাক
খুশির উল্লাস
বৈশাখ মানে রং মেখে
বহুরূপী সাজ।।
বৈশাখ মানে মুখ মিষ্টি
বাঙালির রসনা তৃপ্তি,
বৈশাখ মানে রবীন্দ্রজয়ন্তী
স্মরণের বিশ্বকবি।।
লেখকের মন্তব্য
আসসালামু আলাইকুম আমি তাসফিয়ারানী পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে বৃষ্টির বাক্য ১৫ কবিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আমার আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবাইকে জানাবেন। আমার ওয়েবসাইটের নতুন নতুন পোস্ট আপলোড করা হয়ে থাকে আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকলো ভিজিট করার জন্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url