স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন?
আসসালামু আলাইকুম আজকের আলোচ্য বিষয় স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে এ সকল বিষয় বলে নিয়ে আপনারা হয়তো ইন্টারনেটে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি আজকে আপনাদের সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব তাই আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
২৬ শে মার্চ হয়েছে আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস এই দিনটি অর্জন করার জন্য আমাদের কে ৯ মাস যুদ্ধ করতে হয়েছে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমরা এ দেশ থেকে স্বাধীন হিসেবে পেয়েছি আর এই দিনটাকে আমাদের স্মরণীয় করার রাখার জন্য প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে।
ভূমিকা
মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ শে মার্চ দিনটা উদযাপন করা হয় এই দিনটা উদযাপন করার জন্য আমাদের অনেক পরিশ্রম করা হয়েছে অনেক মা বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে এবং এই দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমরা প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ পালন করে থাকি। এমন একটা দিন যেখানে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
আরো পড়ুনঃআন্তর্জাতিক নারী বর্ষ কবে প্রথম পালিত হয় বিস্তারিত জানুন?
এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তার জীবন দান করেছেন এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন তাদেরকে বলেছেন আমাদের দেশটা স্বাধীন এবং সার্বভৌমত্ব করতে হবে আর এটা করার জন্য ৩০ লক্ষ মানুষের জীবন দিতে হয়েছে এবং দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করতে হয়েছে তারপর আমাদের দেশটাকে স্বাধীন হিসেবে পেয়েছি।
স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
- প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়।
- ৯ মাস রক্ত ক্ষয়ের পরে আমরা এ দেশটাকে স্বাধীনভাবে পেয়েছি।
- এই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে থাকে।
- প্রতিবছর ৩০ লক্ষ শহীদের আক্তার মাগফেরাত কামনার জন্য দোয়া ও মাহফিলের ব্যবস্থা করে থাকেন।
- প্রতিবছর স্কুল-কলেজের সকালবেলায় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
- সেখানে ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে রিয়ালির অনুষ্ঠান করা হয়ে থাকে।
- বিদ্যালয় মহাবিদ্যালয় সকল জায়গায় শহীদ মিনারে ফুল প্রদান করে থাকে।
- তারপর সেখানে বক্তৃতার অনুষ্ঠান করা হয় সেখানে তাদের ১০ মিনিটে নিরব সংবর্ধনা জানানো হয়।
- স্কুল কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
- সারা দেশব্যাপী এই অনুষ্ঠান এর মধ্য দিয়ে ২৬ শে মার্চ পালন করা হয়ে থাকে।
২৬ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা করা হয় কবে
১৯৪৭ সাল থেকে আমাদের দেশটা দুইভাগে বিভক্ত ছিল একটা ছিল পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তান ছিল বাংলাদেশ আর পশ্চিম পাকিস্তান ছিল ভারত এখন ভারত বাংলাদেশ এক ছিল ১৯৭০ সালে নির্বাচন হয় এবং নির্বাচনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগ কিন্তু ইয়াহিয়া খান আমাদের দেশের ক্ষমতা তার হাতে ছিল আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে সে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাইনি সে গোপনে অনেক দূর যেতে চেয়েছিল ।
আরো পড়ুনঃইউরিয়া সার কিভাবে তৈরি হয় সে সম্পর্কে জেনে নিন?
কিন্তু তারা সেটা চায়নি তারা বাঙ্গালীদের উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে ছে তাদেরকে স্বাধীনভাবে থাকতে দেওয়া হয়নি তাদের ওপর অত্যাচার করেছে। এবং ২৬ শে মার্চ অর্জন করার জন্য ৩০ লক্ষ শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই দেশটাকে স্বাধীনভাবে অর্জন করেছি।
২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ১৯৭১ সালে এই দিনে বাংলায় পূর্ব আকাশে রক্ত লাল হয়ে গঠিত হয়েছিল একটি নতুন সূর্য বাংলার আকাশে উড়েছিল লাল সবুজের পতাকা বিষের বুকে জন্ম নিয়েছে নতুন নামক বাংলাদেশের রাষ্ট্র । ১৯৫২ সালে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ১৯৫৬ সালের সংবিধানের আন্দোলন ১৯৭৮ সালে মার্শাল বিরোধী আন্দোলন ১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন হাজার৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন। তার পরে ১৯ ৭১ সালে স্বাধীন মুক্তিযোদ্ধা ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়।
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে এই মাস প্রতিবছর আসে এ মাসে এ মাসের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশটা পেয়েছি আর ৩০ লক্ষ শহীদ দের উদ্দেশ্যে আমরা এটা পালন করে থাকি মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে এদেশে কারণ আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিল কিন্তু পারেনি কারণ এই ভাষা আন্দোলন করতে হয়েছে মানুষের মুখের ভাষার জন্য দীর্ঘ ৯ মাস রক্ত ক্ষয় করছে লাখ লাখ মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে তার বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীন দিবস। আমরা এই দিনটিকে ভুলতে পারি না কারণ এই দিনের সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িত রয়েছে।
২৬ মার্চ ১৯৭১ এর ইতিহাস
২৬ শে মার্চ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনভাবে পাম দেশকে নেওয়ার জন্য অনেক কাজ করেছেন তিনি ৭ই মার্চ রেস কোর্স ময়দানে ভাষণ দিয়েছেন এবং স্বাধীনভাবে দেশকে পাওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে জন্য পরিশ্রম করার ফলে মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে সাধারণভাবে চলতে পারে এবং তাদের মতামত পোষণ করতে পারে।
আরো পড়ুনঃবিশ্বে হিন্দু জনসংখ্যা কত ২০২৪ সালে বিস্তারিত জানুন?
আর এসব কিছুর পেছনে রয়েছে আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবর এর অবদান তিনি এ দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন ১৯৭১ সাল ২৬ শে মার্চ আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন আমাদের স্বাধীনতা তারপর তাকে জেলে নিয়ে যায় এবং সেখানে লিখেছেন আমাদের দেশকে স্বাধীনতার করা প্রয়োজন সেই থেকে আমাদের দেশ স্বাধীনভাবে মানুষ বসবাস করতে পারে।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা
১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। মানুষের আত্মত্যাগের পেছনে আমাদের এ বাংলাদেশ প্রিয় জন্মভূমি কারণ এদেশের মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদের আত্মত্যাগ করেছেন তারা জানিয়েছেন যে আমাদের এই দেশ স্বাধীন এবং সার্বভৌমত্ব এ দেশের মানুষ ভাতে মরবে পানিতে মরবে কিন্তু তাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে তাদেরকে স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে আমরা যদি স্বাধীনতা অর্জন না করতে পারে তাহলে অন্যায় ভাবে শত্রুপক্ষ আমাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং আমাদের নির্মমভাবে হত্যা করবে এভাবে তিনি সবাইকে জানান এবং সেই ভাবে মতামত পোষণ করে থাকেন।
২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস
১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস এই দিনে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি ৩০ লক্ষ শহীদ মানুষের আত্মত্যাগের মহিমা এ দেশকে রক্ষা করতে পেরেছি পচিশে মার্চ রাতে যখন হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত বাঙালের উপরে অত্যাচার করেন তখন লাখ লাখ মানুষ মারা যায় তারপরে আমাদের শেখ মুজিবুর রহমান সবাইকে বলেন যে আমাদের দেশ পরাধীন ছিল এ দেশকে রক্ষা করার জন্য আমাদের অনেক মানুষের প্রাণ দান করতে হয়েছে তার বিনিময়ে আমরা এ দেশটাকে পেয়েছি।
লেখক এর মন্তব্য
আসসালামু আলাইকুম আমি তাসফিয়া রানী আজকে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে দশটি বাক্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আপনারা যদি এটা পড়ে ভালো লাগে তবে আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবাইকে জানাবেন স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আর আমার ওয়েবসাইটে নতুন নতুন পোস্ট আপলোড করা হয় আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার অনুরোধ রইলো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url