স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ বিস্তারিত জানুন?

আসসালামু আলাইকুম আজকে জানবো স্বপ্নদোষ কি আর প্রজা ভঙ্গের কারণসমূহ এ সকল বিষয় বলি বলো নিয়ে হয়তো আপনারা ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি আজকে আপনাদের সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব আর এজন্য আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো
স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ বিস্তারিত জানুন?
স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গে না কারণ আপনি এটা ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নদোষ হয়েছে আর সেই কারণে আপনার রোজা ভাঙ্গার সম্ভাবনা নেই তবে আপনার উপরে গোসল ফরজ হয়েছে। এসব শয়তানের কারণে হয়ে থাকে শয়তান ঘুমের মধ্যে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের স্বপ্ন দেখিয়ে থাকে এ কারণে আপনার স্বপ্নদোষ হয়।

ভূমিকা

স্বপ্নদোষ হচ্ছে এমন একটি সমস্যা যে কারণে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে আপনি রোজা রাখা অবস্থায় ঘুমিয়ে রয়েছে সে সময় ঘুমের মধ্যে আপনি স্বপ্ন দোষ হয়েছে এখন কথা হল আপনারা জানতে চাচ্ছেন যে স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় আসলে কথাটা সেটা না আপনার রোজা ভঙ্গ হবে না কারণ আপনি এটা ঘুমের মধ্যে দেখেছেন সেই জন্য আপনার রোজা ভাঙ্গার কোন সম্ভাবনা নেই কিন্তু আপনার উপরে গোসল ফরজ হয়েছে আপনাকে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নিতে হবে।

স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ

রোজা ভাঙ্গা হয় না কারণ স্বপ্নদোষ মানুষকে বিভিন্ন ধরনের স্বপ্নের মাধ্যমে শয়তান তার বিভিন্ন কুবুদ্ধি দিয়ে থাকে আর এটা মানুষ ঘুমের মধ্যে হয়ে থাকে এটা আপনি জাগ্রত অবস্থায় কোন খারাপ কাজের সঙ্গে লিপ্ত হননি সেই কারণে আপনার কোন রোজা ভাঙ্গার সম্ভাবনা নেই তবে আপনি যে স্বপ্ন দেখেছেন সেই কারণে আপনার উপরে গোসল ফরজ করা হয়েছে। আপনাকে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নিতে হবে তাহলে আপনার কোন সমস্যা হবে না এবং আপনার রোজা ভাঙ্গার কোন সম্ভাবনা নেই।

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
  • স্ত্রী সহবাস করলে।
  • রাত্রি আছে মনে করে সবার সাদিকের পর পানাহার করলে।
  • ইনজেকশন বা স্যালাইনের মাধ্যমে দেহমাগে ওষুধ পৌঁছালে।
  • সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সূর্যাস্ত হয়নি।
  • হলকের নিচে পানি চলে গেলে অবশ্যই রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙবে না।
  • কংকর পাথর ফলে বিচি গিলে ফেললে।
  • মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়লে সুবেসাদিকের পর নিন্দা হতে।
  • পুরো রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
  • দাঁত হতে ছোলা পরিমাণ খাদ্যদ্র দ্রব্য গিলে ফেললে।
  • মুখ ভর্তি বমি করলে।
  • নাকে বা কানে ওষুধ বা তেল প্রবেশ করালে।

রোজা ভঙ্গের কাফফারা


ইচ্ছাকৃত রোজা ভাঙলে কাফরা আদায় করা উচিত যেভাবে কাফের আদায় করলে তা নিম্নে বর্ণিত করা হল।।
  • একটি রোজার পরিবর্তে একা ধারে ৬০ দিন রোজা রাখতে হবে রোজা রাখতে সক্ষম না হয় তাহলে।
  • ৬০ জন মিসকিন কে একবেলা করে ৬০ দিন খাওয়াতে হবে।
  • একজন গোলামকে আজাদ করতে হবে।

রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ

রোজা মাক্হরুহ হওয়ার কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো

  • মিথ্যা কথা বলা।
  • রোজার কারণে অস্থিরতা বা কাতরতা প্রকাশ করা।
  • কয়লা মাজুন পূত পাউডার টুথপেস্ট বা গোল দিয়ে দাঁত মাজা।
  • গালাগালি বা ঝগড়া করা।
  • গীবত বা চোগলখোরি করা।
  • অনর্থক কোন জিনিস মুখের ভেতরে দিয়ে রাখা।
  • অহেতুক কোন জিনিস চিবানো বা চেখে দেখা।
  • সকালবেলায় নাপাক অবস্থায় থাকা।
  • সিনেমা দেখা বা অন্য কোন কবিরা গুনাহ লিপ্ত হওয়া।
  • ইচ্ছা কৃতভাবে অল্প বমি করা।
  • কুলি করার সময় গড় গড় করা।
  • নাকের ভিতর পানি টেনে নেওয়া।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে শুধু জমা করে গিলে ফেলা।

রোজা ভঙ্গের কারণ হাদিস

ইচ্ছাকৃতভাবে যদি আপনি রোজা ভেঙ্গে থাকেন তাহলে আপনার সে রোজাটাও করতে হবে এবং কাফারাটা দিতে হবে রোজা থাকা অবস্থায় যদি আপনি স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করেন তাহলে আপনার রোজা ভেঙে যাবে যারা বৃদ্ধ অবস্থায় রয়েছে তারা রোজা রাখতে পারে না সেইজন্য তাদের কাফারা দিতে হবে যাদের শরীর দুর্বল এবং বিভিন্ন কারণে অজ্ঞান বা বেহুঁশ হয়ে যায় সেইসকল কারণে আপনার রোজা বদলে আপনি কাফার দিতে পারেন কাফার হিসেবে আপনার ফকির মিসকিনকে তিন বেলা খাওয়ায় দিতে হবে বা আপনার বদলে কাউকে রোজা রাখার যাবে।
আরো পড়ুনঃঅনার্স ৪র্থ বর্ষের ফরম ফিলাপ ২০২৪ বিস্তারিত জেনে নিন?

রোজা ভঙ্গের কারণ রক্ত

শরীর থেকে যদি আপনার কোন জায়গায় কেটে যায় তাহলে যদি রক্ত বের হয় তাহলে আপনার কোন রোজা ভাঙবে না কারণ এটা বের হলে কোন ভেংবে না তবে শরীরের ভিতরে যদি কিছু ঢুকানো হয় তখন আপনার রোজা ভাঙ্গা পড়বে বা আপনার মুখ থেকে যদি বমি বের হয় তাহলে আপনার রোজা ভাঙ্গার সম্ভাবনা রয়েছে বা বা আপনি ভুল করে কিছু খেয়ে ফেলেছেন সেজন্য আপনার কোন রোজা ভাঙবে না তবে আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কিছু খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার রোজা ভেঙ্গে যাবে আর সেজন্য আপনাকে কাফফারা দিতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

আসসালামু আলাইকুম আমি তাসফিয়া রানী আজকে স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ এ সকল বিষয় বলে নিয়ে আজকে আলোচনা করেছি আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবাইকে জানাবেন স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গে না সে সম্পর্কে আমার ওয়েবসাইটে নতুন নতুন পোস্ট আপলোড করা হয় আপনাদের কে অনুরোধ থাকলো আমার পোস্টটি ভিজিট করার জন্য।











এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url