ইরি ধানের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন?
আসসালামু আলাইকুম আজকের আলোচ্য বিষয় ইরি ধানের চাষ পদ্ধতি নিয়ে এ সকল বিষয়বলি নিয়ে হয়তো আপনারা ইন্টারনেটে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি আজকে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব এ সকল বিষয় নিয়ে আর এই সকল বিষয়ে জানার জন্য আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
ধান শব্দের অর্থ কি? এর অর্থ হল অজ্ঞাত ধান উৎপাদন আসলো কোথা থেকে এটা প্রাচীনকাল থেকেই আসছেএবং বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন জায়গায় ধান চাষ করা হয়। যেমন বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া আমেরিকা উত্তর কোরিয়া সকল জায়গাতেই ধান চাষ হয়। আর পৃথিবীতে ধান থেকে ৪০ ভাগ চাহিদা পূরণ করে। এই ধান থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আছে।
ভূমিকা
বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য হলো ধান আর এই ধান বারো মাস চাষ করা হয়। তারা তাদের জমিতে ইরি ধান চাষ করে থাকে ধান আমাদের প্রধান খাদ্য যেটা খেয়ে মানুষ বেঁচে আছে মানুষের চাহিদা পূরণ করে থাকে আর এটা শরীরে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে আর সে সকল বিষয় বলে নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে যেগুলো পুষ্টিকর খাবার সেগুলো খেয়ে বেঁচে থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃগোবর সারের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন?
যে ধান চাষ করে উপযুক্ত সময়ে ধান রোপন করে ধান রোপন করার পরে ধানের প্রতি তারা অনেক যত্ন নেই যাতে ধান গাছ তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায় সেগুলো আবাদ করার পরে এক সময় যখন পাকে তখন ঘরে উত্তোলন করা হয়। ধান আমাদের প্রধান খাদ্য শস্য এটাকে আপনি ৪০ ভাগ ক্যালরির চাহিদা পূরণ করে থাকে আর সেই সকল বিষয় নিয়ে যেটা মানুষ তার খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে থাকে এবং এর উপরে নির্ভর করে মানুষ বেঁচে থাকে।
ইরি ধানের চাষ পদ্ধতি
ইরি ধান মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য এটা একবার চাষ করা হয় এটা ধান লাগানোর সময় হচ্ছে ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি শুরু পর্যন্ত।মানুষের শরীরে ধান মানুষের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে থাকে যা অন্য কোন জিনিসের সেটা পারে না সেজন্য আমাদের দেশের মানুষ ধানের প্রতি নির্ভরশীল ধান সাধারণত বারো মাস পাওয়া যায়।বারো মাস ধান লাগানো হয়।
কৃষকরা তাদের জমিতে কী ভাবে বারো মাস ধান ধান চাষ করে সেই জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় তারা প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের ধান কিভাবে উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে জানার জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার যাতে তারা ভালোভাবে ধান চাষ করতে পারে। সেই সকল বিষয় বলে নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে কারণ মানুষ তো তাদের সকল চাহিদা পূরণ করে থাকে এটা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।
ধান চাষ পদ্ধতি রচনা
ধান আছে আমাদের দেশের প্রধান খাদ্য হিসেবে এটা অন্যান্য দেশে তুলনায় আমাদের বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয় এবং এটা থেকে মানুষের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে থাকে যেটা অন্য কোন খাদ্য নেই ধান চাষ করে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটায় এবং ধান দিয়ে তারা নানা রকম ভাবে লাগানো হয় এখন আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করে মানুষ তাদের সকল চাহিদা পূরণ করে থাকে।
কিভাবে ধানের পরিচর্যা করতে হয়
ধান লাগানোর আগে মানুষকে জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে এবং জমি যাতে উর্বর হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এমন ভাবে জমিকে তৈরি করতে হবে যাতে জমি তার ধান লাগানোর পরে সে জমিতে ধান ভালো জানবে এটা কৃষকদের প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে তারপরে আলাদাভাবে বীজ রোপন করতে হবে আর সেই বীজ উঠিয়ে জমিতে লাগাতে হবে জমিতে লাগানোর পরে সেটাকে আগাছার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে যাতে আগাছা ধান গাছকে না নষ্ট করে ফেলে সেদিকে খেয়াল দিতে হবে এবং নিয়মিতভাবে সার প্রয়োগ পানি সেচ দিতে হবে।
ধান চাষের উপকারিতা
ধান চাষ করলে বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায় কৃষকরা তাদের পরিশ্রম দিয়ে ধান চাষ করে যাতে তাদের সারা বছর সে ধানের চাল করে তারা খায় আর তাতে অনেক পুষ্টি এবং ক্যালরি রয়েছে যেটা অন্য কোন কিছুতে নেই আর সেইজন্য খেয়াল রাখতে হবে মানুষ তাদের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি আর্থিকভাবে সফলতা লাভ করতে পারে মানুষের মধ্যে কৃষকদের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে।
আধুনিক ধানের চাষ
বাংলাদেশের উন্নত ধান রোপনের পদ্ধতি বিভিন্নভাবে কৃষি গবেষণা অনুসারে প্রশিক্ষণ দিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের ধান রপনের পদ্ধতি বের করেছে।বিভিন্নভাবে তারা প্রশিক্ষণ দিয়েছে কিভাবে তাদের ধান গাছ রোপন করে ফলন বৃদ্ধি করা যায়। আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করে মানুষ অনেকে গিয়েছে কৃষি কাজে তারা সফলভাবে তারা তাদের আর্থিক সমস্যা সমাধান হয়ে থাকে।
সেজন্য তারা তারা উন্নত জাতের যন্ত্রপাতি মেশিন তৈরি করেছে যাতে মানুষ সহজে ধান চাষের উপর আরো উৎসাহিত হয় এবং সেখানে ১২ মাস ধান রোপন করে।বাংলাদেশের কৃষকরা প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম দিচ্ছে এবং কিভাবে তারা আরো উন্নত মানের ধান চাষ পদ্ধতিবের করতে পারে সেজন্য তারা প্রশিক্ষণ নিচে এবং সে অনুযায়ী কাজ করছে।
আমন ধান চাষ পদ্ধতি
আমাদের দেশে সব থেকে বেশি আমন ধান চাষ করা হয় এটি একটি শীতকালীন ধান এটা ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়। আমন ধান হয়ে থাকে এবং মানুষের ঘরে ঘরে একটা আনন্দ উৎসব পড়ে যায় যেটা গ্রামবাংলায় দেখা যায় গ্রাম বাংলার মানুষ অনেক সহজ সরল তারা সুন্দরভাবে সবার সাথে একসাথে মিলেমিশে থাকে এবং তাদের শীতকালে যে পিঠা পড়ে উৎসব হয় সেখানে উৎসব পালন করে থাকে
আমাদের দেশের দেশের মানুষ ধানের উপরে নির্ভরশীল এ ধান লাগিয়ে তাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে থাকে এবং যাতে তাদের কোন খাদ্য ঘাটতি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং মানুষকে বুঝতে হবে তাদের সকল চাহিদা আসে ধান থেকে এ ধানের উপর নির্ভরশীল করেই বাংলাদেশের মানুষ বেঁচে আছে আর তাদের পরিবারের চাহিদা এখান থেকে মিটিয়ে থাকে।
ধানের জাতের নাম
বাংলাদেশের নানা প্রজাতির ধান চাষ করা হয় তাদের মধ্যে কয়েকটি ধানের জাতের নাম উল্লেখ করা হলোঃ
- আউশ ধান
- জিংক সমৃদ্ধি ধান
- অল্প জিআই সম্পন্ন ধান
- বারো ধান
- আমন ধান
- জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধান
- এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধি
আমন ধানের বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশের সব থেকে ধান চাষ হয় আমন ধান আমন ধানটি দুইভাবে লাগানো হয়। যেমন বোরা আমন রোপা আমন।বরং এমনটি চৈত্র থেকে ফাল্গুন মাসে এটা জমিতে জমিতে এটা বোনা হয় যে ধানটি উৎপন্ন হয় সেটাকে বোরা আমন ধান বলে থাকে আরে ধান গুলো মানুষ বারো মাসে দুইবার আবাদ করে আর এটা কৃষকরা করে থাকে। কৃষকদের এখান থেকে তার পরিবার চলে এটা বিক্রি করে তারা অর্থ উপার্জন করে থাকে।
আর রুপা আম আন্টি হল এটা শীতকালে তুলে জমিতে রোপন করা হয়। সেটার রোপা মন। রোপা আমন ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এটা মানুষের মুখে মুখে হাসি ফোটায় গলা ভরা ধানে এবং সেখানে তারাপীঠা পুলি উৎসবে মেতে ওঠে।
বারো ধান কোন ঋতুতে হয়
বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু আর এই ছয়টি ঋতুর মধ্যে বারোধান রোপণ সময় হলো অগ্রায়ণ মাসের শেষের দিকে। তারা এ সময় বারোধান রোপন করে রোপন করে।বৈশাখ মাস থেকে জৈষ্ঠ মাসের মধ্যে এ ধান মানুষের গলায় উঠে তারা তখন উৎসবে মেতে ওঠে এ ধান কেমন লাভবান হতে পারে না।সেজন্য তারা বারো ধান ধান রোপন করে খুব কম কিন্তু আমন ধান প্রত্যেকটা কৃষক তার জমিতে রোপন করে থাকে। আমন ধান রোপনের সময় হলো
আমন ধান বাংলাদেশের বহুল পরিচিত একটি আবাদ সেখানে কৃষক আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল তারা মনে করে এ ধান অনেক লাভজনক আর তাদের ধান রোপনের সঠিক সময় হল জুন থেকে জুলাই মাস এ সময় তারা জমিতে ধান রোপন করে। এখন ধান রোপনের জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে মেশিন উঠেছে আর মেশিন গুলো দিয়ে তারা ধান লাগিয়ে থাকে এতে করে তাদের কোন কষ্ট হয় না সহজ উপায়ে তারা ধান লাগিয়ে থাকে।
আমন ধান ওঠে অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে এ মাসের তারা তাদের গলায় ধান উঠায় এবং এবং সেখানে তারা ঘরে ঘরে উৎসব হয় এবং কৃষকের মুখে হাসি ফোটে তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আয়োজন করে এবং সেখানে তারা অনেক আনন্দ করে এবং তাদের পিঠা পোলের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেও থাকে যেটা সব কৃষকের পরিবারে একটা সুখ বয়ে আনে।
আউশ আমন বারো ধান কখন হয়
বাংলাদেশের দুই ধরনের ধান প্রচুর পরিমাণে আবাদ হয।বাংলাদেশে মানুষ দুই ধরনের ধান চাষ বেশি করে একটা করে জুন থেকে জুলাই মাস এটা আমন ধান রোপন করার সময় আর ধান টির ফলন হয় নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে এই ধানটি ওঠার পরে বারোধানটি আবার জমিতে রোপন করে।এটা আবার উঠে বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ মাসে এরপর পরি আবার কৃষকদের মনে একটা উৎসব জেগে ওঠে।
আরো পড়ুনঃধূমপান ছাড়ার ১৩টি কৌশল সম্পর্কে জানুন?
তারা সব সময় ভালো মানেরধান চাষ করে ফলন বৃদ্ধি করা আর বৃদ্ধি করার ফলে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি গবেষণা অনুযায়ী তারাভালো মানের বৈদেশিক টাকা উপার্জন করছে আর এই দুই মৌসুমী সবচেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এতে করে তাদের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয় সেখানে তাদের মোটা অংকের একটি আর্থিক ব্যবস্থা হয়ে থাকে।
লেখক এর মন্তব্য
আসসালামু আলাইকুম আমি তাশফিয়ারানী আজকে আপনাদের উন্নত পদ্ধতির ধান সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমার পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন তাদেরকে উন্নত পদ্ধতিতে ধান চাষ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন আর এমন আরো তথ্য জানতে আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url