শবে বরাতের রোজা কয়টি ২০২৪ বিস্তারিত জেনে নিন?

আসসালামু আলাইকুম আমি তাসফিয়া রানী আজকের আলোচ্য বিষয় শবে বরাতের রোজা কয়টি এ সকল বিষয় বলে নিয়ে আপনারা হয়তো ইন্টারনেট অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি আজকে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব আর সেজন্য আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি করার অনুরোধ রইলো।

হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত থেকেই ইবাদত বন্দর এবং দিনের বেলা রোজা রাখো কেননা এই দিনে আল্লাহতালা সূর্যাস্তের পর থেকে নেমে আসেন এবং আহবান করেন কোন ক্ষমা প্রার্থী আছো কি যাদের আমি ক্ষমা করব। কোন ডিজে পাঠা আছো কি যাদের আমি রিজিক দেব এভাবে সূর্যাস্তর পর্যন্ত অপেক্ষা করেন তার কোন বান্দা তার ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন।

শবে বরাতের রোজা কয়টি এটা সম্বন্ধে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে যে রাসুল করি সাঃ বলেন যখন শাবান মাসের মধ্য দিবস আসে তখন তোমার আর রাতে নফল ইবাদত করো এবং দিনে রোজা পালন করো এই হিসাবে ১৪ শাবান দিবাগত রাতে ইবাদত করতে হয় এবং এর রাতে সেহরি খেয়ে পর দিন ১৫ শাবান রোজা রাখতে হয়। যদি কেউ মনে করেন প্রতি আরবি মাসের ১৩ ১৪ ১৫ তারিখে রোজা রাখতে পারেন এই রোজাটাকে আইয়ামে বীজের রোজা বলা হয়ে থাকে। হযরত আদম আলাইহি সাল্লাম থেকে রোজা পালন হয়ে আসছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এই রোজা পালন করতেন।

শবে বরাতের রোজা ১টি কারণ সাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে এটা এবাদত বন্দেগী করার পরে সূর্যাস্তের পর থেকে দিনে রোজা পালন করা হয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তিনি সারারাত ইবাদত বন্দুকের মধ্যে কাটাতেন এবং তিনি রোজা পালন করতেন এটা আদম আলাই সাল্লাম আমল থেকে এ পালিত হয়। 

আপনি সব প্রতি মাসে ১৩-১৪ এবং ১৫ তারিখ আইয়াম এ ব্রিজের রোজা পালন করতেন। বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে জানা যায় রাসলীকরীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর পর রজব শাবান মাসে বেশি বেশি ইবাদত তথা নফল নামাজ ও নফল রোজা পালন করতেন শাবান মাসে কখনো দশটি রোজা কখনো বৃষ্টি নফল রোজা আর বেশি রোজা রাখবেন বলা হয়ে থাকে রজব সাবান মাসে নফল রোজা রমজানের রোজা প্রস্তুতি স্বরূপ ।

 ইবনে মাজার শরীফে ১৩৮৪ নাম্বার হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুল সাঃ বলেন ১৫ শাবানের রাত যখন আসে তখন তোমরা ইবাদত বন্দেগীতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখ এভাবে বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে সাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে ইবাদত ও পরদিন সাবানের রোজা রাখতে উৎসাহিত করা হয়ে থাকে বর্ণিত রয়েছে বরাতে রাত হচ্ছে পাওয়ার রাত যাওয়ার রাত আল্লাহর নিকট কাঁদার রাত যত বেশি সম্ভব ইবাদতের মাধ্যমে রাত কাটাও তবে মনে রাখতে হবে।

 নিজের শরীরের ওপরে বাবা অসহন কষ্ট না স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকা অবস্থায় ঠিক থাকা অবস্থায় যতক্ষণ এবাদত করা যায় ততক্ষণ করতে হবে রোজার সম্বন্ধে অনেকের প্রশ্ন থাকে শবে বরাতের রোজা আসলে কয়টি এর উত্তরে বলা হয়ে থাকে যে শবে বরাতের রোজা ১ টি। যে রাতে ইবাদত করা হয় তারপরের দিন সারাদিন রোজা রাখতে হয়।

শবে বরাতের রোজা সাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্রে যে যে ইবাদত বন্দেগী করার পরে দিনে যে রোজা পালন করা হয় সেটা হচ্ছে শবে বরাতের ২০২৪ সালে ইংরেজি তারিখ ২৫ তারিখে শবে বরাত পালিত হবে অর্থাৎ২৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত্রে যে ইবাদত বন্দেগি করা হয় এবং ২৫ শে তারিখে দিনে যে রোজা পালিত হবে।

 সেটা শবে বরাতের রোজা শাবান মাসের ১৪ তারিখে আল্লাহর কাছে যদি কেউ কাঁদে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করে নেয় এবং এ রাতে আল্লাহ তাআলা সাত আসমানের নিচে নেমে আসে আল্লাহ দেখে তার বান্দারা কে কি করছে কে আল্লাহর কাছে চাইছে যদি কেউ আল্লাহর কাছে চাই আল্লাহ কখনো তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না তার দোয়া কবুল করে নেন।

শবে বরাতের রোজা এটা নফল রোজা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সাবান মাস পরে থে কে কমবেশি দুই একটা রোজা বাদ দিয়ে তিনি সব রোজা করা চেষ্টা করতেন এবং রমজানের রোজার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন আর শবে বরাতের রোজা শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে মধ্য রজনীতে নফল ইবাদত বন্দেগি করে থাকেন এবং এই রাতে হাজার রাতের চেয়ে উত্তম রাত এ রাতে আল্লাহ তাআলার দোয়া কবুল করে থাকেন কে কি করছে সেটা আপনি দেখেন এবং যে গুনাগার বান্দা সে যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।

শবে বরাত শব্দের অর্থ কি শবে বরাত সাধারণত দুটি অর্থ দিয়ে গঠিত একটি হচ্ছে শবে শব্দটি ফার্সি শব্দ এর অর্থ হচ্ছে রজনী আর বারাত কথাটি আরবি শব্দ এর অর্থ হচ্ছে কোন কিছু থেকে মুক্তি পাওয়া অতএব শবে বরাত অর্থ হচ্ছে মুক্তির রজনী যেহেতু এই রাতে বান্দারা মুক্তি হয় যেহেতু আল্লাহর অসংখ্য গুনাগার বান্দা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন তাই এই রজনীকে শবে বরাত বা মুক্তির রজনীর রাত বলা হয়ে থাকে এ রাতে অনেক পাপী বান্দা রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা এ রাতে তাদের মুক্ত থাকেন।

শবে বরাতের রোজা নফল ইবাদত এর আগে মানুষ তার গুনাহ মাপের আশায় আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা চাই আল্লাহতালা তাদের ক্ষমা করে দেন শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্রে বা মধ্য রজনীতে পালিত হয় এই রাত এমন একটি যা বছরে একবার আসে আল্লাহতালার দরবার থেকে এর একটি পালন হয়ে থাকে আল্লাহতালা সাত আসমানের নিচে এসে তাদের বান্দাদের দেখতে আসেন এবং দেখেন যে তারা তার কাছে কে কান্নাকাটি করছে গুনাহ মাফের আশায় আল্লাহ অতি দয়ালু তিনি তাদের জীবনের সকল গুনাহ মাফ করে দেন এবং তাদের জানা-অজানা অনেক গুনা থেকে মাফ করে দেন।

দ্বিতীয় হিজরীতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যখন মক্কা থেকে মদিনায় গমন করেন তখন থেকে সিয়াম ফরজ হয়ে যায় কিন্তু কয়টা সিয়াম ফরজ ছিল কিভাবে সিয়াম ফরজ করা হয়েছে সে সকল বিষয়বলের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি অনেক হাদিসে এসেছে যে অনেক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এরা রাত্রে খেয়ে দেয়ে শুয়ে যেতেন তারপরে সারাদিন সিয়াম পালন করে শুভ সাদিক পর্যন্ত কিন্তু আমাদের উপরে যখন আল্লাহতালা সিয়াম ফরজ করেছেন তখন ৩০ টি রোজা ফরজ করা হয়েছে এবং সেহরি খাওয়ার নিয়ম আল্লাহ তাআলা করে দিয়েছেন।

শবে মেরাজের রোজা কয়টা রাখতে হবে এবং কত তারিখে রাখতে হবে শবে মেরাজের কোন রোজা হাদিসের আলোকে প্রমাণিত নয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালামের মেরাজ হয়েছে এটা সত্য কিন্তু কত তারিখে মেরাজ হয়েছে এই বিষয়টি জানা নেই এটার জন্য অনেক মতপার্থক্য রয়েছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর মেরাজ দিবস বা রজনী কে কেন্দ্র করে বিশেষ কোনো আমল বা এবাদত

 বন্দেগী হোক বা রোযা হোক মেরাজা দিবসের ২৭শে রোজা এরকম কোন কথা বা বর্ণিত হয়নি বা প্রমাণিত নয় যার কারনে মেরাজের রোজা বলতে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বর্ণিত নয় কিন্তু মেরাজে আল্লাহ তালার তরফ থেকে ওহী নাযিল হয়েছিল নবী করীম সাঃ এর উপরে আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী মক্কা থেকে মদিনায় গমন করেন আর এটাকে আমরা মেরাজ বলে জেনেছি।

আসসালামু আলাইকুম আজকে আপনাদেরকে শবে বরাতের রোজা কয়টি সে সকল বিষয় বলে দিয়ে আলোচনা করেছি আমার আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবাইকে জানাবেন শবে বরাতের রোজা কয়টি সম্পর্কে আর সেই রোজাগুলো পালন করার চেষ্টা করবেন আমার ওয়েবসাইটে নতুন নতুন পোস্ট আপলোড করা হয়ে থাকে। আপনাকে আমার ওয়েবসাইটে এসে ডিলিট করার অনুরোধ রইল।