শবে বরাতের নামাজ কি সুন্নত নাকি নফল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন?
আসসালামু আলাইকুম আপনাদেরকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব শবে বরাতের নামাজ সুন্নত না নফল এটা জানার জন্য হয়তো আপনারা ইন্টারনেটে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি।আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব আর এটা জানার জন্য আমার সম্পূর্ণ পোস্টে পড়ার অনুরোধ রইলো।
শবে বরাতের নামাজ শবে বরাতের নামাজ সুন্নত না নফল রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি স এর হাদিস অনুযায়ী এই রাত্রে বিশেষভাবে কোন নামাজ আদায় করেন না এ রাত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এ রাত্রে এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটাতেন এবং জিকির দরুদ পাঠ করা এবং বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা এ রাত্রে মাধ্যমে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতেন।
ভূমিকা
শবে বরাতের নামাজ অতিরিক্ত নামাজ বা নফল নামাজ হিসেবে বলা হয়ে থাকে এই রাতে প্রত্যেক মুসলমান নামাজ পড়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যে এ রাতে শুধু নামাজ পড়ার কথা বলা হয়নি বলে দেওয়া হয়েছে যে এ রাতে ইবাদত বন্দুকের কথা এরা হচ্ছে অনেক উত্তম রাত এ রাত দোয়া কবুলের রাত যেখানে প্রত্যেক মুসলমান তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা সবকিছু আল্লাহর দরবারে বলেন এবং আল্লাহ সাত আসমান থেকে নিচে আসেন এবং তিনি দেখেন যে তার এই গভীর রাতে কারা ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে নিজের ঘুম বিসর্জন দিয়ে নামাজ দোয়া দুরুদ পাঠ করছে ।
শবে বরাতের নামাজ কি সুন্নত নাকি নফল
শবে বরাতের নামাজ অতিরিক্ত নামাজ বা নফল নামাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কারণ এ রাতের নামাজ আল্লাহর দরবারে পেশ হয় আমাদের বেশি বেশি পাঠ করতে হবে এবং কোরআন শরীফ পাঠ করতে হবে। দরুদ শরীফ পাঠ করার অনেক ফজিলত রয়েছে এই বেশি বেশি এ রাতে যদি আপনি দরুদ শরীফ পাঠ করে থাকেন তাহলে আপনার অনেক সোয়াব হবে।
আরো পড়ুনঃইউরিয়া সার কিভাবে তৈরি হয় সে সম্পর্কে জেনে নিন?
নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম সব সময় বেশি বেশি পাঠ করতেন আর তার সাহাবী পাঠ করার জন্য বলতেন এই নফল ইবাদতটা হচ্ছে নিজেদের জন্য মৃত্যুর পরে আপনার হাশরের ময়দানে বিচার না হবে ঠিক তখনই আপনি যদি ভাল কাজ করে থাকেন তার জন্য আপনার জান্নাত বরাদ্দ রয়েছে এবং খারাপ কাজ করে থাকলে আপনার জন্য জাহান্নাম রয়েছে।
শবে বরাতের নফল নামাজের নিয়ত
শবে বরাতের নফল নামাজের নিয়তি নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- নাওয়াইতোয়ান উসালিল্লাহি তা'আলা বারকাতায় বারা তিন নাফলি মুতাজ জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ সারিফতি আল্লাহু আকবার।
- শবে বরাতের বাংলায় নামাজের নিয়ত
- আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম আল্লাহ।
এ বলে আপনি নামাজের নিয়ত করলেন প্রত্যেক দুই রাকাত নামাজের পরে সালাম ফিরিয়ে দুই রাকাত করে মোট ১২ রাকাত নামাজ পড়বেন আর এ রাতে আপনি যত বেশি ইবাদত করবেন আপনার এই ইবাদত আল্লাহর কাছে পেশ হবে এবং আল্লাহ তাআলা আপনার কষ্টের ফল একদিন দিবে আপনি এ নামাজটা এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগে পর্যন্ত এ নামাজ পড়া যায়।
শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত
শবে বরাতের নামাজের কোন নির্দিষ্ট কত রাকাত সেটা উল্লেখ করা হয়নি কিন্তু কিছু কিছু বই উল্লেখ রয়েছে যে শবে বরাতের নামাজ ১২ রাকাত শবে বরাতের নামাজ এমনই এক ইবাদতের রাত আপনি এ রাতে যত খুশি নামাজ পড়তে পারবেন ইবাদত করতে পারবেন এই নামাজ শুরু হয় এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগে পর্যন্ত। এ নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে যদি কোন কিছু চাওয়া হয় আল্লাহ সেটা করুন করে থাকেন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া
শবে বরাতের নামাজ দুই রাকাত করে আদায় করতে হয় এবং এটা আপনি ঘরে আদায় করতে পারবেন কারণ এই নামাজ যদি আপনি পড়ে থাকেন তাহলে আপনার সন্তান আপনার স্ত্রী বা স্বামী এ নামাজ পড়ার জন্য আদায় করা হয়। এ নামাজটি নিয়ত হচ্ছেঃ
শবে বরাতের নফল নামাজের নিয়ত
শবে বরাতের নফল নামাজের নিয়তি নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
নাওয়াইতুয়ান উসাল লিল্লাহি তা'আলা রাকাত সালাতিল বারা তিন নাফলি মোতাওয়া জিহান ইলাজিহাতিল সারি ফাতি আল্লাহু আকবার।
শবে বরাতের বাংলায় নামাজের নিয়ত
আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার।
শবে বরাতের ফজিলত
শবে বরাতের ফজিলত অনেক শবে এর অর্থ রাত এটা ফারসি শব্দ বারা আত এটা আরবি শব্দ এর অর্থ হল কর্তন করা বা কেটে দেওয়া মূলত বান্দার অগণিত গুনাহ কর্তন করে আল্লাহতালা মানুষকে পূর্ণ মাস করে দেয়। এজন্য এইটাকে শবে বরাত বলে। এটাকে আবার রহমতের রাতে বলা হয় যেহেতু আল্লাহতালা অফুরন্ত রহমত এই রাতে বর্ষণ করে এটাকে আপনার লাইলাতুল বারাকা বরকতের রাতে বলা হয় যেহেতু আল্লাহতালা এ রাতে অফুরন্ত বরকত তার বান্দাদের জন্য দান করেন ।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী বলা হয় কেন চলুন দেখে নি?
এটাকে লাইলাতুল শাখ বলা হয় যেখানে কাগজে অনেক বড় বর্তমানের কিছু লিখে দেয় আল্লাহ তায়ালা এ রাত্রে মানুষের আমলনামায় লিখে দেয় আমাদের দুই ঘাড়েদুই ফেরেশতা রয়েছে। একটা মন কার আরেকটা নাকির এই ফেরেশতা আল্লাহতালার কাছে গিয়ে সুপারিশ করতে থাকে এ রাতে কে কি করে সেজন্য আল্লাহতালা মানুষে। কেয়ামতের দিন আমলনামা দেখবেন এবং সেখানে হিসাব নিকাশ করবেন।
শবে বরাত পালনের নিয়ম
শাবান মাসে সবচেয়ে একটা রাত আছে মধ্য রজনী সেটা হল শবে বরাত এই রজনীতে জেগে ইবাদত করা এবং দিনে রোজা রাখা এ হাদিসগুলো বর্ণিত হয়েছে সবগুলো হাদিসই জয়ীফ কোনটি সহি নয় তবে একটি হাদিসে উল্লেখ রয়েছে যে শবে বরাত পালন করা সহি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন এ রাতে শুধু ইবাদত নয় আপনারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এর মাধ্যমে নিজের গুনাহ মাফ করে নিতে পারবেন এ রাত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত এ রাতে আল্লাহর কাছে যা কিছু যা হয় আল্লাহ তার মনের আশা পূরণ করে থাকে।
শবে বরাতের নামাজের সূরা
শবে বরাতের নামাজের সূরা হলোঃ
শবে বরাতের রাতে কেউ যদি ১২ রাকাত নামাজ পড়ে তাহলে সূরা ফাতিহা একবার+ সূরা ইখলাস একবার এভাবে যদি আপনি প্রতি রাগাতে নামাজ পড়েন বা সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা কদর পড়েন তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে আর যদি না পারে কেউ তাহলে আপনি সূরা ইখলাস দিয়ে পড়তে পারবেন আপনার জীবনের গোনার খাতা সব মাফ হয়ে যাবে। আপনি চাইলে সারারাত নামাজ পড়তে পারেন এবং অন্যান্য ইবাদত করতে পারেন।
লেখক এর মন্তব্য
আসসালামু আলাইকুম আমি তাসফিয়া রানী আজকে আপনাদেরকে শবে বরাতের নামাজের সুন্নতকে নফল সকল বিষয় বলে নিয়ে আলোচনা করলাম আপনারা যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবাইকে জানাবেন শবে বরাতের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে আমার ওয়েবসাইটে নতুন নতুন পোস্ট আপডেট করা হয়ে থাকে আপনারা আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার অনুরোধ রইলো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url