তাহেরপুরী পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন?
আসসালামু আলাইকুম তাহেরপুরী পেঁয়াজ চাষ করতে হয় কিভাবে করতে হয় আপনারা হয়তো ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেনেছেন বা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি আজকে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব আর আমার পোস্টটি পড়ার সম্পূর্ণ অনুরোধ রইলো তাহেরপুরে পেঁয়াজ এটা অনেক চাষ করা অনেক সহজ।
তাহেরপুরি পেঁয়াজ চাষ অনেক লাভজনক এটা চাষ করতে হয় যেভাবে সেগুলো হচ্ছে জমিতে বিভিন্ন ধরনের আগাছা থাকে সেগুলোকে আপনি ভালোভাবে পরিষ্কার করবেন এবং এই পেঁয়াজ বালি 10 দোআস মাটিতে মাটিতে ভালো জন্মায় আর পেঁয়াজ লাগানোর জন্য আপনাদেরকে প্রথমে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে তারপরে আপনি পিয়াজের বীজ লাগাতে পারবেন।
ভূমিকা
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পিয়াজ হচ্ছে তাহেরপুরী পেঁয়াজ এ পেঁয়াজ রাজশাহী জেলাতেই বেশি আবাদ করা হয়ে থাকে কারণ অন্যান্য জেলার চেয়ে রাজশাহী জেলা পিঁয়াজে অনেক সুস্বাদু এটা কৃষকরা প্রতি হেক্টর জমিতে ২০ থেকে ২১ টন পেঁয়াজ আবাদ করা হয়ে থাকে আর সব জায়গাতে পিয়াজ আবাদ করা হয় আর পেঁয়াজ আবাদ করার জন্য বেশি জায়গা প্রয়োজন হয় না এটি দোআঁশ মাটিতে হয়ে থাকে যা কৃষকরা আবাদ করে অনেক লাভজনক করে এবং পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় মানুষ আবাদ হিসেবে পেঁয়াজটাকে বেছে নিয়েছে। এবং আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
তাহেরপুরী পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি
বাংলাদেশের সবচেয়ে পেঁয়াজ জাতের মধ্যে তাহেরপুরে পেঁয়াজ সবচাইতে ভালো এটার ফলন বেশি হয় এবং প্রতি হেক্টর জমিতে ২১ থেকে ২২ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয় আর সবচেয়ে ভালো পেঁয়াজ জাত হচ্ছে তাহেরপুরী পিয়াজ যেমন হয় তেমন অন্য কোন পেঁয়াজ ভালো ভাবে হয় না আর এটা থেকে ভালো বীজ উৎপাদন করা হয় তাহেরপুরি পেঁয়াজ চাষ ।
আরো পড়ুনঃ লাভজনক পদ্ধতিতে মাছ চাষ সম্পর্কে জেনে নেন?
করার জন্য যদি আগাছা জমিতে লাগানো হয় তাহলে পেঁয়াজ চাষ ভালো হবে না আর সেই কারণে প্রথমে জমি নির্বাচন করতে হবে এবং জমি যাতে স্যাতসেতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে স্যাঁতশেতে মাটিতে পেঁয়াজ ভালো হয় না তার জন্য উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে যাতে পানি জমতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং তাহেরপুরি পেঁয়াজ লাগানোর জন্য বালি দোআঁশ মাটি সবচাইতে ভালো।
মুড়ি কাটা পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি
মুড়ি কাটা পেঁয়াজ লাগানোর জন্য প্রথমে আপনাদেরকে মাটি নির্বাচন করতে হবে মাটিটি হবে বেলে দো আঁশ বা দোআঁশ মাটি তারপরে জমিটিকে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে এবং সেখানে সার প্রয়োগ করতে হবে তারপরে জমিটিকে চাষ দিতে হবে প্রথমে এক হেক্টর জমি নিব ২০ থেকে ২৫ কেজি সার প্রয়োগ করতে হবে আর মুড়ি কাটা পেঁয়াজের জন্য একটু বেশি পরিমাণ সার দিতে হবে জৈব সার দিলে ভালো হবে আর যদি না দেওয়া হয় ।
তাহলে কোন ক্ষতি হবে না জমিটা প্রস্তুত করার পরে পেঁয়াজ লাগানোর জন্য বিলি কেটে নিতে হবে তারপরে মুড়ি কাটার বিজ লাগাবো বীজ লাগানো হয়ে গেলে সেটা আবার মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ঢেকে দেওয়ার পরে যদি দোআঁশ মাটি হয় তাহলে ২-৩ দিন পর আপনাকে পানি সেক্স করতে হবে আর যদি বেলে দোআশ মাটি হয় তাহলে পানি সেচ করা লাগবে না এটাতে পেঁয়াজের বীজ জন্মে যাবে।
শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি
পেঁয়াজ চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো জমি হচ্ছে বেলে দোআঁশ মাটি পেঁয়াজ চাষ করার জন্য জমিতে বারবার চাষ করা প্রয়োজন হয় যাতে মাটি ঝুরঝুরে হয়ে যায় যে জমিতে জৈব সার রয়েছে সে জমিতে পিঁয়াজ চাষ ভালো হয় পেঁয়াজ চাষ করার জন্য পেঁয়াজের জাত নির্বাচন করতে হবে আর সবচেয়ে ভালো জাতের পেঁয়াজ হল তাহেরপুরি পেঁয়াজ এটা বাড়ি খরা মৌসুমে হয়ে থাকে শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ বপণের পদ্ধতি প্রথমে বীজের চারা রোপন করতে হবে ।
এবং সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে জমিতে রোপন করতে হবে। এই বীজ প্রতি হেক্টর জমিতে ৮ থেকে ১০ কেজি বীজ প্রয়োজন হয় বীজ বপনের পর ৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয় আর বীজ লাগানোর পরে ভালোভাবে ঢেকে দিতে হবে আর এই বীজ লাগানোর উপযুক্ত সময় হচ্ছে অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে বীজরকম করতে হবে আর এ সময় রোপণ করে বিজয় সেচ ঠিকভাবে দিতে হবে যাতে গাছটির দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ লাগানোর জন্য আলাদাভাবে প্রথমে বীজ চারাতে হবে তারপরে জমি প্রস্তুত করতে হবে এবং ছবিটি যাতে উর্বর হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ উর্বর মাটিতে পেঁয়াজ লাগানো ভালো হয়। পেঁয়াজ লাগানোর জন্য মাটিকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে এবং ইউরিয়া ফসফেট দস্তা জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে প্রয়োগ করার পরে সেই চারানো বীজ তুলতে হবে তোলার পরে জমিতে বীজ
আরো পড়ুনঃ আমাদের দেশে প্রায় কত প্রকার শাক সবজির চাষ হয়ে থাকে?
বিলি করে লাগাতে হবে তাহলে তাহলে গাছটি ভালো হবে আর বেশি ঘন লাগানো যাবে না বেশি ঘন লাগালে গাছ ভালো হয় না। তারপরে তার পরিচর্যা করতে হবে যাতে ঘাস লতাপাতা না জড়িয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং নিয়মিতভাবে পানি সেচক্র তবে সার প্রয়োগ করতে হবে আরো গ্রীষ্মকালীন সময় অসময় কারণ এ সময় পেঁয়াজ সাধারণত হয় না বেশি লাভজনক করার জন্য এই পেঁয়াজ কৃষকরা লাগিয়ে থাকে।
পেঁয়াজ চাষের সময়
বাংলাদেশ দুই মৌসুমী পেঁয়াজ চাষ করা হয় সেগুলো হল গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন এ দুটারে আলাদা আলাদা ভাগ রয়েছে যেমন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ যদি শীতকালে লাগানো হয় তাহলে পেঁয়াজের গাছ জন্মাবে কিন্তু পেঁয়াজ হবে না একই রূপ ভাবে শীতকালীন পেঁয়াজ যদি গ্রীষ্মকালীন সময় লাগানো হয় একই ঘটনা ঘটবে কারণ একসময়ের পেঁয়াজ আরেক সময়ে উৎপাদন হয় না এজন্য আপনারা যখন পেঁয়াজ রোপনের সময় ঠিক তখনই সে রোপন করতে হবে আর সঠিক মানের পেঁয়াজের বীজ নিতে হবে যাতে আপনাদের লস না হয় সেদিকে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে সঠিক সময় সঠিক বীজ লাগাবেন তাহলে আপনার ভালো মানের পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারবেন।
পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি
পেঁয়াজ চাষ করার জন্য নাতিশীতো জলবায়ুর প্রয়োজন হয় এবং ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় এবং পেঁয়াজ গাছের গোড়া ভালোভাবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন হয় পেঁয়াজ চাষ সব মাটিতেই হয়ে থাকে এবং ফসল ভালো হয় দোআঁশ মাটিতে এবং মাটির নিচে রাখতে হবে ৫. ৬ থেকে ৬. ৬ পর্যন্ত।
আর শীতকালে পিয়াজ চাষ করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী পেঁয়াজ হলো লাল জাতের পেঁয়াজ । তাহেরপুরি উদয়পুরি এক উদয়পুরী দুই ইত্যাদি শীতকালে পেঁয়াজের উপযুক্ত সময় হল অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত আর এ মাসে বীজ তোলার উপযুক্ত সময় হয়ে থাকে জমিতে রোপন করতে হবে জমিতে রোপন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে বেশি ঘন না হয় কারণ ঘন হলে পেঁয়াজ ভালো হয় না।
হাইব্রিড পেঁয়াজ চাষ
বাংলাদেশের লাল তীর নাম হচ্ছে হাইব্রিড রিয়াজ এটি সাধারণত আমেরিকাতে উৎপাদন হয়ে থাকে হাইব্রিড পেঁয়াজ ভালো উৎপাদন হয়ে থাকে আর এগুলো সাধারণত ফরিদপুরে গাইবান্ধা এগুলোতে বেশি হয়ে থাকে বাংলাদেশে আবহাওয়া ভালো হওয়ার কারণে হাইব্রিড পেঁয়াজ উৎপাদন ভালো হয় হাইব্রিড কিং যাদের পেঁয়াজ লাগালে পেঁয়াজ কালারটা অনেক সুন্দর হয় এবং এটি অনেক দিন ধরে রাখা হয়ে থাকে হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ বাজার মূল্য ভালো।
আরো পড়ুনঃকখন এবং কতদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই সম্পর্কে জেনে নিন?
এজন্য কৃষক ভাইদের বলব আপনারা যদি পেঁয়াজ লাগার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ লাগান এটাতে বেশি ফলন হবে এবং সব সময় বাজারে এর হাইদামে বিক্রি হয়ে থাকে এর চাহিদা অনেক হাইব্রিড জাতের বীজ লাগানোর পরে আপনাদেরকে জমিতে এমন ভাবে প্রস্তুত করতে হবে যাতে গাছটি ভালো জন্ম এবং হাইব্রিজ জাতের পেঁয়াজ ঘন করে লাগানো যাবে না এটা পাতলা করে লাগাতে হবে এবং নিয়মিত ভাবে সেচ দিতে হবে আর এটা সব সময় ভালো মাটিতে লাগানোর জন্য বেশি উপযোগী হয়ে থাকে।
পেঁয়াজ বীজ চাষ পদ্ধতি
পেঁয়াজের চাষ পদ্ধতি চাষ করার জন্য ভালো মাটি প্রয়োজন আছে যে মাটিতে আপনি সার প্রয়োগ করবেন সার প্রয়োগ করার পরে সে মাটিকে ভালোভাবে ঝগড়া করবেন এবং যে বীজটি লাগাবেন সেটা ভালো মানের জানে বীজ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন কারণ বাজারে বিভিন্ন ধরনের ব্রিজ পাওয়া যায় সেটার লাগালে আপনার ব্যবসার জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে দাঁড়াবে এবং তাইতো সব ভাইদের বলছি আপনারা যে গাছটি লাগাবেন সেটি ভালো মানের যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
লেখকের মন্তব্য
আসসালামু আলাইকুম আমি তাসফিয়া রানী আজকে আপনাদের তাহেরপুরের পেঁয়াজ চাষ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং আপনি আমার আর্টিকেলটি পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবকে জানাবেন তাহেরপুরের পেঁয়াজচাষ করার জন্য আর আমার ওয়েবসাইটে নতুন নতুন তথ্য আপলোড করা হয় আপনি আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার অনুরোধ রইলো
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url