কখন এবং কতদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই সম্পর্কে জেনে নিন?



আসসালামু আলাইকুম আজকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয় কথা বলব কখন এবং কতদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল  আর জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে হবে তবে আপনি জানতে পারবেন ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে শুরু করে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের দেশে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল আরে যুদ্ধের নেতা হিসেবে ছিলেন আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।
কখন এবং কতদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই সম্পর্কে জেনে নিন
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত বাঙালির ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন তখন থেকে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় এবং ২৬শে শে মার্চ থেকে আমাদের দেশের মানুষ একক হয়ে তারা যুদ্ধের জন্য এগিয়ে যায় সেখানে তারা দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে। এই যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী তাদের সাথে যুদ্ধ করে এবং ১৬ই ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত আমাদের এদেশে যুদ্ধ হয় তারপরে আমাদের এই দেশটা অনেক কষ্ট করে স্বাধীন হিসেবে পাই।

ভূমিকা

১৯৭১ সালে ইয়া হিয়া খানের সাথে এক বৈঠকে ডাকেন শেখ মুজিবুর রহমানকে তিনি সেখানে যান এবং সেখানে গিয়ে তাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা হয় এবং তারা তাদের দখলে দেশটা নিতে যাচ্ছিল কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সেটা মেনে নেননি তিনি বলেছেন আমাদের দেশের মানুষ সুন্দরভাবে জীবন যাপন করবে এই জীবন যাপনের জন্য যদি আমাদেরকে প্রাণ দিতে হয় তবুও রাজি আছি কিন্তু তোমাদের হাতে আমাদের এ দেশটাকে কখনোই তুলে দিতে পারব না

 তখন থেকে তাদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব শুরু হয় আর এ দ্বন্দ্ব থেকে তারা মনে মনে ঠিক করে রাখে তাদের হাতে এ দেশটাকে নিয়ে তখন ২৫ শে মার্চ রাত্রে ঘুমন্ত বাঙালির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন শেখ মুজিবুর রহমান তাদেরকে ডাক দিলেন এবং বললেন তোমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে তোমরা শত্রুর মোকাবেলা কর আর সেখান থেকে যুদ্ধ শুরু হয় দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ হয় আর যুদ্ধে জয় লাভ করে।

কখন এবং কতদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল

১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ রাত থেকে শুরু হয় যুদ্ধ আরে যুদ্ধে হানাদার বাহিনী বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং লাখ লাখ বাঙালিকে জীবন দিতে হয়েছে তারপর থেকে আমাদের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান একটা জনসভা গঠন করেন সেখানে লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হন যেখানে তার ভাষণ বলেন আমরা শত্রুদের হাত থেকে মুক্তি চাই আমাদের দেশটাকে রক্ষা করতে হবে আর যদি না পারি তাহলে আমাদের এভাবেই জীবন দিতে হবে তখন লাখ লাখ বাঙালির তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ থেকে শুরু হয় ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধ করে আমাদের এ দেশটাকে রক্ষা করেছেন।

কেন কখন এবং কতদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে

১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ রাতে হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেন কিন্তু আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এটা সহ্য করেননি তিনি ৭ই মার্চে একটা জনসভা গঠন করেন এবং সেখানে তিনি লাখ লাখ জনতার মাঝে বক্তব্য রাখেন তিনি বলেন আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে কারণ বিনা কারণে মানুষ রাজপথে হত্যা করে আর এ হত্যা ঠেকাতে জন্য আমাদেরকে যুদ্ধ করতে হবে ।
1আরো পড়ুনঃ চিংড়ির কত জোড়া ফুলকা থাকে ও চিংড়ি শুটকির উপকারিতা কী
তোমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে তোমরা প্রস্তুত থাকো যেকোনো সময় আমাদের উপরে নির্যাতন হতে পারে আর এটা আমাদেরকে ঠেকাতে হবে যদি না পারি তাহলে আমাদের লাখ লাখ মা বোনের ইজ্জত হত্যা হয়েছে এগুলো হতে থাকবে কিন্তু এটা হতে দেওয়া যাবে না আমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে তোমরা প্রস্তুত থাকতে হবে এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করে আমাদের দেশটাকে রক্ষা করতে হবে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ হয় এবং দেশটাকে স্বাধীনভাবে পাই।

মুক্তিযুদ্ধ কিভাবে সংঘটিত হয়েছিল

আমাদের এই দেশটা দুই ভাগে বিভক্ত ছিল একটা ছিল পুরো পাকিস্তান একটা ছিল পশ্চিম পাকিস্তান আর দুইটা নেতা ছিল সেটা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ইয়াহিয়া খান তাদের সাথে আমাদের দেশটা মিল করে রেখেছিল এবং ইয়াহিয়া খান গোপনে গোপনে তাদের দল ঠিক করে এবং আমাদের জাতির পিতা কে একটা মিটিংয়ে ডাকে সেখানে তাকে আটকে দেই কিন্তু আমাদের বাঙালিরা সে খবরটা পায় সেখান থেকে তাকে ছুটি নিয়ে আসে।
 তখন শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে বলেন আমাদের দেশটা অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে সেখান থেকে আমাদের দেশটাকে রক্ষা করতে হবে আর যদি না পারে তাহলে আমাদের হাজার হাজার মানুষের জীবন যাচ্ছে আর সেটাকে থেকে রক্ষা করতে হবে আমাদের দেশটাকে। আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই।

কার নেতৃত্বে কীভাবে সংঘটিত হয়েছে

১৯৭১ সালে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি নেতৃত্ব দেন এবং আমাদের বাঙ্গালীদের নিয়ে একতাবদ্ধ হন তিনি এক জন সভায় তাদেরকে ডাকেন এবং সেখানে তারা হাজির হন লাখ লাখ জনতার সামনে অশ্রু ঝরা কন্ঠে তিনি বলেন আমাদের দেশটা ইহা খান তার দখলে নিতে যাচ্ছে কিন্তু আমি সেটা হতে দিব না আমাদের রাজপথে রক্তের রঞ্জিত হয়ে গেছে আমরা এটা সহ্য করব না আমাদের দেশটা কে বাঁচাতে হবে।
এ দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে তাদের হাত থেকে আর যদি এটা না পারি তাহলে আমরা স্বাধীনভাবে থাকতে পারবো না বাঁচতে পারবো না বিনা কারণে আমাদের প্রাণ দিতে হবে আমরা এখন থেকে একতাবদ্ধ হবো এবং এ দেশটাকে রক্ষা করব। তারপর থেকে ই যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ চলতে থাকে ১৬ডিসেম্বরে তারা আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং দেশটাকে স্বাধীন হিসেবে পেয়েছি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন দেশ বাংলাদেশের বিরোধিতা করে

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমাদের বাংলাদেশের পক্ষে ছিল চীন ও ভারত এরা বাংলাদেশের পক্ষে ছিল আবার ইউনেস্কো ভুটান নেপাল যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ফ্রান্স এরা পশ্চিম পাকিস্তানের ছিল তারা সবসময় মনে করত এদেশের মানুষের জন্য কাজ কাজ করতো তারা বলতো এদেশের মানুষের পিছনে যে সকল বিষয় রয়েছে এবং আমাদের দেশের রক্ষা করার জন্য অনেকভাবে তারা কাজ করতো তারা বলতো যে এদেশ কে রক্ষা না করলে আমাদের দেশের মানুষ তাদের হাতে নির্যাতিত হতে হবে কিন্তু দীর্ঘ নয় মাস ধরে যুদ্ধ করে এ দেশটাকে রক্ষা করেছে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা

আমাদের দেশ এক সময় পরাধীন ছিল এদেশের মানুষের ওপর অনেক নির্যাতন করেছে কিন্তু আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সেটা সহ্য করেননি ।ইয়া ইয়া খানের সাথে একটা বৈঠকে তিনি বসেন তিনি বলেন যে এদেশের মানুষের জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন আর তাদের ওপরে অন্যায় ভাবে অত্যাচার কেন করছেন তার উত্তর তিনি দেননি কথাটি এগিয়ে চলেছে তখন শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পারে আমাদের দেশটাকে সে নিজের দখলে নিতে যাচ্ছে তখন থেকে তারা মনে মনে পরিকল্পনা করতে থাকে শেখ মুজিবুর রহমান সেটা বুঝতে পারে তারপর একটা জনসভায় দাওয়াত দেন সেখানে লাখ লাখ মানুষ হাজির হয় এবং তিনি বলেছেন আমাদের দেশটাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাত থেকে শুরু হয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত বাঙালের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং নির্মাণভাবে হত্যা করেন লাখ লাখ মানুষকে তিনি মানুষের কে অন্যায় অত্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে তাদেরকে সুন্দরভাবে বাঁচাতে হবে। এবং ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের দেশে যুদ্ধ হয় সেখানে যুদ্ধ করে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেন দেশটিকে স্বাধীনভাবে বাঁচে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস

১৯৭১ সালে আমাদের দেশে যুদ্ধ হয় আর যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশটিকে শত্রুর হাত থেকে বাঁচিয়ে তাদের শত্রুমুক্ত করেছি। এদেশের মানুষ অন্যায় ভাবে তাদের উপর অত্যাচার করা হতো আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সেটা দেখেছেন এবং সে গরীব অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি একটা সমাবেশ করেন সেখানে তিনি ভাষণ দেন এ আমাদের এ দেশটা শত্রুর মুক্ত করতে হবে কারণ যদি না করতে পারি তাহলে আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবো না আমাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে এটা আমরা সহ্য করব না।

 আমাদের দেশটাকে স্বাধীন করতে হবে তোমাদের যা কিছু আছে তোমরা তা নিয়ে প্রস্তুত থাকো শত্রুমুক্ত করে এ দেশটাকে রক্ষা করতে হবে আর যদি রক্ষা না করতে পারি তাহলে আমরা বাঁচতে পারব না তা তারপর থেকে যুদ্ধ শুরু হয় দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ হয় এবং যুদ্ধে পাহারাদার বাহিনী পরাজয় স্বীকার করে আমাদের দেশে লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করা হয় সেখানে পতাকা উড়ানো হয় আমরা প্রতিবছর ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করি।

লেখকের মন্তব্য

আসসালামু আলাইকুম আমি তাসফিয়া রানী আজকে আপনাদের সঙ্গে কখন এবং কতদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছে আমার আর্টিকেলটা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবাইকে জানাবেন এবং আমার ওয়েবসাইটে নতুন নতুন পোস্ট আপলোড করা হয় সেখানে আপনি ভিজিট করার অনুরোধ রইলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url