ভুট্টা বীজ বপন পদ্ধতি ও ভুট্টা কত দিনের ফসল?

আসসালামু আলাইকুম আজকে আপনাদের কে জানাতে এসেছি ভুট্রার বীজ বপন পদ্ধতি ও ভুট্টা কত দিনের ফসল। ভূট্রা অনেক সহজ পদ্ধতিতে বপন করা যায় আর এটা চেয়ে আর সহজ পদ্ধতি নেই বললেই চলে কারণ ভুট্টার ব্রিজ দুই  ভাবে লাগিয়ে থাকে।প্রথমত বীজ ছিটিয়ে লাগানো হয় আবার বেড করে ।
ভুট্টা বীজ বপন পদ্ধতি ও ভুট্টা কত দিনের ফসল

করে  আর বীজ বপনের পরে থেকে ১৫ দিনের মধ্যে  ভূট্রা চারা তে পরিনত হয়ে থাকে।যদি  আপনি মনে করেন  সারি বদ্ধ ভাবে  লাগাবেন তাহলে সারিতে আপনি ৩ থেকে ৪ বীজের  প্রয়োজন হয়। আর যদি আপনি ভূট্রার বীজ ছিটিয়ে লাগানো হয তাহলে একসারিতে ৫ থেকে৬ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।কিন্তু  বীজ ছিটিয়ে লাগানোর চেয়ে  আমি  মনে করি যদি  সারি বদ্ধ ভাবে লাগানো হয় 

 তাহলে ভূট্রার ফলন ভালো হবে।ভুট্টা বপন পদ্ধতি অনেক সহজ উপায় করা হয়ে থাকে এর চেয়ে সহজ উপায় আর কোথাও নেই কারণ আমরা যদি মনে করি যে ভুট্টা রোপন করব এবং সেখান থেকে আমরা চাষ করবো এবং তাহলে প্রতি সারিতে সত্তর সেন্টিমিটার ভাবে বীজ বপন করতে পারব এবং বীজ বপনের গভীরতা তিন থেকে চার সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে যদি আমরা ছিটিয়ে রোপন করি। তাও এর চারা গাছ হবে তবে ভুট্টার বীজ রপন করার আগে করার আগে সে জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে এবং সেটা ভুটার চারা লাগানোর উপযোগী করতে হবে

ভূমিকা

ভুট্টার বীজ কিভাবে লাগাতে হবে এবং কোন সময় লাগালে বীজ অধিক ফলন পাওয়া যাবে সেই সকল বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদেরকে বলবো আপনারা যদি হাইব্রিজ যাদের বীজ লাগান তবে ফলন অধিক পাবেন আর বীজ বিজ রোপণের সময় খেয়াল রাখতে হবে। ভালো জাতের বীজ লাগানোর জন্য কারণ ভালো জাতের বীজ লাগালে ফলন বেশি হবে এতে আর্থিকভাবে অন্যকে সাধন হবে আর যখন আমরা বীজ লাগাবো তখন খেয়াল রাখবো যে জমিটা প্রস্তুত হয়েছে কিনা তার জন্য প্রস্তুত করার পরে সেই জমিতে ভুট্টা ভালো হয়।

ভুট্টা বীজ বপন পদ্ধতি

  • ভুট্টা দুইভাবে লাগানো যায় আর লাগানো যায় এবং সারিবদ্ধ ভাবে এবং ছিটিয়ে লাগানো যায় যদি ভুট্টার বীজ ছিটিয়ে লাগাই তাহলে বীঘা প্রতি সাড়ে ৪ কেজি লাগে আর যদি আমি সারি বদ্ধ ভাবে লাগাই তাহলে ৫ কেজি সারি বদ্ধ ভাবে লাগানো লাগবে। আর যেসব নিয়ম কানুন গুলো আছে সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
  • প্রথমে যদি ভুট্টার বীজ বললে লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব হবে ৭১ সেন্টিমিটার বা ২৯ ইঞ্চি আর বীজের গভীরতা হবে ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার যাতে ব্রিজ হওয়ার পরে জায়গা পরিমাণ মতো থাকে।
  • যদি ছিটিয়ে বীজ রোপন করি তাহলে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ জন্মাবে এবং এটাতে ফলন কম হয় কিন্তু যদি বুনে তাহলে ভুট্টা গাছ ঘন হয় এবং এটাতে ফলন কম হয় কিন্তু একেক জায়গায় একেক রকম ভাবে ভুট্টা চাষ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ চিকিৎসা এনোফিলিস মশা কোন রোগ ছড়ায়
  • তবে বন্ধুরা আপনাদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে যদি ছিটিয়ে বিজ বপন করা হয় তাহলে গাছের পরিমাণ বেশি হবে এবং এটাতে জায়গা কম হবে ফল ছোট হবে কারণ এ গাছ পুষ্টির অভাবে ভুট্টা ছোট ফল ধরবে। কিন্তু যদি সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো যায় ।তাহলে তাহলে এর ফলন বেশি হবে।
  • ভুট্টা যদি সাড়ে বদ্ধ ভাবে লাগানো যায় তাহলে একবার ভুট্টা ভাঙ্গার পরে আবার ভাঙ্গার সুযোগ থাকে। কারণ ফাঁকা জায়গাতে ভুট্টা বেশি হয় এবং ভুট্টা বড় সাইজের হয়ে থাকে।
  • ভুট্টা যদি ছিটিয়ে বললে চার রকমের দশ দিন পর জমিতে হবে আর গাছের সংখ্যা ৯ ০০০থেকে ৯৫০০ টি গাছ থাকতে হবে।
  • এবং ভুট্টা লাগানোর আগে জাত নির্বাচন করতে হবে কারণ ভুট্টাতে দুই ধরনের জাত পাওয়া যায় যেমন কম্পোজিট ও হাইব্রিড এ দুই ধরনের মধ্যে হাইব্রিড টা সবচেয়ে ভালো এর ফলন বেশি হয়।
  • আর কম্পোস্ট জাতের ভুট্টা সংংসিত বীজ কিনে বহন করলে চার থেকে পাঁচ বছর পর পর এটা চাষ করা যায় এ চাষে ভুট্টা ছোট ছোট হয় এবং এর বাজার মূল্য অনেক কম। সেজন্য ভুট্টা লাগানোর আগে ভালো জাতের ভুট্টা লাগাতে হবে।
  • কিন্তু হাইব্রিড জাতের ক্ষেত্রে প্রতিবছর নতুন নতুন ব্রিজ কিনতে হবে এবং এদের উৎপাদন ভালো হয়।

হাইব্রিড ভুট্টা চাষ পদ্ধতি

হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করে বেশি লাভজনক একটা হিসাব অনুযায়ী দেখানো হয়েছে যে ৩৩ শতাংশ জমিতে ভুট্টা হয়েছে ১৫ থেকে১৬ টন কারণ যদি উন্নত মানের বীজ রোপনকরতে হবে। কারণ ভালো বীজ ভালো ফসল দিতে সাহায্য করে। জমিতে যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করা যায় তাহলে ভুট্টাভাল হবে এবং ভুট্টা লাগালেমানুষের মানুষের অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে এবং বীজ লাগানোর পরে সুন্দরভাবে পরিচর্যা করতে হবে যাতে ঘাস লতা পাতা জড়িয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ ভালো বীজ ভালো ফসল দিতে সাহায্য করে।

উন্নত জাতের ভুট্টার নাম

উন্নত জাতের ভুট্টার নাম গুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • খৈ ভুট্টা
  • হাইব্রিড ভুট্টা
  • কম্পোস্ট ভুট্টা
  • পাইওনিয়ার ভুট্টা,
  • লালতির ভুট্টা
  • সিনজেনটা ভুট্টা
  • হাইব্রিড ভুট্টা
  • বর্ণালী ভুট্টা,
  • মোহর ভুট্টা
আরো পড়ুনঃজনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ কোনটি
  • শুভ্রা ভুট্টা
  • বারি হাইব্রিড ভূট্রা ৪
  • বারি হাইব্রিড ভুট্টা ৫
  • বারি হাইব্রিড ভুট্টা ৭
  • বারি হাইড্রেট ভুট্টা ০৯
  • বারি হাইব্রিড ভুট্টা১০
  • বারি হাইব্রিড ভুট্টা ১১
  • বারি হাইব্রিড ভুট্টা ১২
  • বারি হাইবিড ভুট্টা ১৪
এগুলো হল উন্নত জাতের ভুট্টাএগুলো যদি লাগানো হয় তাহলে অধিক ফলনে চাষ করা যায় সে সকল বিষয় বলে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে

বিঘা প্রতি ভুট্টার ফলন

ভালো জাতের ভুট্টা যদি চাষ করা হয় তাহলে বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৪০ মন ভুট্টা হয়ে থাকে কারণ কিছু কিছু ভুট্টা আছে ভালো জাতের কারণ ভালো জাতের ভুট্টাযদি লাগানো হয় তাহলে ছোটবেলা থেকে যত্ন নিতে হবে এবং এমন ভাবে লাগাতে হবে যাতে একটা গাছের সাথে আরেকটা গাছ না লাগে ২৫ ইঞ্চি ফাঁকা করে লাগাতে হবে যাতে গাছটা বড় হওয়ার সাথে সাথে ডালপালা মিলতে পারে এবং প্রতিনিয়ত তাদেরকে গাছটি ঘাস ঘাস মুক্ত হয়। আর ভুট্টা জমিতে দিতে হবে তাহলে ভুট্টার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

ভুট্টা কত দিনের ফসল

ভুট্টা কত দিনের ফসল সাধারণত ভুট্টা লাগানোর পর থেকে ১৩৫ থেকে ১৪০ দিনের মধ্যে হয়ে যায় আর এটা লাগানোর পর থেকেই শুরু হয় দিন গুনা কারণ এই ফসলে বেশি লাভজনক অল্প সময়ের মধ্যে হয়ে থাকে বীজ লাগানোর পর থেকেই তাদেরকে যত্ন দিতে হবে এবং নিয়মিত সার প্রয়োগ করতে হবে তাহলে দ্রুত গাছ বৃদ্ধি পাবে না হলে গাছের মধ্যে যদি আগাছা থাকে তাহলে গাছ বড় হবে না এতে ফলন হবে না প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ভুট্টা হয়ে থাকে।

ভুট্টা চাষের উপযুক্ত সময়

সাধারণত ভুট্টা চাষ হয় আশ্বিন মাস থেকে তখন থেকে বীজ রোপন করে এবং বীজরোপনের আগে আগে যে জমিতে লাগানো হবে সে জমির মাটি ভালো হবে ঝুরঝুর করে নিতে হবে যাতে এই ভুট্টা বনের পরে গাছটা তাড়াতাড়ি বের হয় এবং সেখানে পানি জমতে না পারে সে ব্যবস্থা করে দিতে হবে উঁচু করে বেড তৈরি করতে হবে যাতে ভুট্টা চাষ করা যায়।, কারণ যে কোন মাটিতে ভুট্টা চাষ ভালো হয় না আর ভুট্টাতে সার প্রয়োগ করতে হবে এবং ফেব্রুয়ারি ভুট্টার ফলন হয়ে যায় এটা বারোমাসি না বছরে একবার হয়।

ভুট্টার উপকারিতা

ভুট্টার উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ভুট্টা খেলে চোখের জন্য উপকার।
  • ভুট্টার ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
  • যাদের হার্টের সমস্যা আছে এই ভুট্টা খেলে হার্টের সমস্যা দূর হয়ে থাকে।
  • যাদের শরীরের রক্তশূন্যতা রয়েছে এতে রক্তের ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
  • এবং হজম শক্তি বাড়িয়ে দেই।
  • এবং শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে সেটা পূরণ হয়ে থাকে।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • যাদের কোলেস্টেরল রোগ আছে তাদের থেকে রক্ষা করে।
  • অ্যালজাইমাস মাস রোগের সহায়তা করে থাকে এটা খেলে শরীর সুস্থ হয়ে যায়।

লেখকের মন্তব্য

আসসালামু আলাইকুম তাসফিয়ারানী আজকে বীজ ভবন পদ্ধতি ও গোটা কত দিনের ফসল সে সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনি ভালো করে পড়ে উপকৃত হবেন। আমাদের আর্টিকেল আপনার ভালো লাগলে আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবার সাথে শেয়ার করে তাদের ভুট্টা বীজ বপন পদ্ধতি ও ভুট্টা কত দিনের ফসল সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন আর এমন তথ্য জানতে আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url