খাচায় দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন ?

আসসালামু আলাইকুম আজকে আপনাদের কে জানাতে যাচ্ছি যে কিভাবে খাঁচায় দেশী মুরগী পালন ।দেশি মুরগি পালন করলে অনেক লাভজনক কারণ দেশী মুরগি পালন অল্প জায়গা লাগে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি।তাদেরকে সহজে খাঁচার মধ্যে রেখে পালন করলে অনেক লাভ করা যায় কারণ অন্যান্য মুরগির চেয়ে দেশি মুরগি পালন করে সুবিধা অনেক এদের পালন করতে সহজ হয়ে যায়।

আমাদের দেশে তো বিভিন্ন ধরনের মুরগি পাওয়া যায়। কিন্তু সব মুরগি যদি খাতায় লিখে পালন করা হতো তাহলে ভালো হতো কিন্তু সব মুরগি খাজা পালন করা হয় ঠিকই। তাদের সুযোগ সুবিধা অনেক কম রোগবালা বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু দেশি মুরগি পালন করলে এটা যেমন জায়গা কম লাগে খাওয়ারও কম লাগে তাদের শরীরে রোগবালা কম হয় এসব মুরগি পালন করে অনেক লাভ হয় আর্থিকভাবে তাড়াতাড়ি সচ্ছলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

আসসালামু আলাইকুম আজকে জানাবো আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের মুরগি পালন করা হয় আর তার চেয়ে ভালো যাতে মুরগি হলো দেশি মুরগি এতে অল্প পুজিতে অনেক লাভ করা যায়। এবং তাদের পালন করতে বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না কারণ দেশি মুরগি সহজে পালন করা যায় তাদের রোগবালার পরিমাণ কম হয়। অল্প সময়ে তাদের পালন করে বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন হয়। এবং এদের মাংস অনেক সুস্বাদু আর ডিমে ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। যেটা খেলে মানুষের শরীরে পুষ্টির অভাব পূরণ হয়।

খাঁচায় দেশি মুরগি পালন করতে যেকোনো জায়গায় যেমন বাড়ির ছাদে অথবা উঠানে ছোট একটা খামার তৈরি করলে তাদেরকে সাহজে লালন-পালন করা যায়। তাদের পালন করলে খরচ কম হয় এবং সুবিধা জনক ভাবে কাজ করা যায় যেটা পদ্ধতিতে মানুষের সকল চাহিদা পূরণ করে।তারা লাভজনক উপায়ে মুরগি খামারে পালন করা হয়।

এবং সেখান থেকে তারা অনেক লাভ করে সে যেন গ্রামাঞ্চলে দেশি মুরগি খাঁচায় পালন করে এতে তাদের লাভজনক হয় দেশের জন্য উন্নতি সাধন করে। আমাদের দেশ দরিদ্র দেশ এখানে বেকারের সংখ্যা বেশি যদি তারা বসে। না থেকে তারা খাঁচায় দেশি মুরগি পালন তাহলে তাদের একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

আমাদের গ্রামাঞ্চলে এমন কোন পরিবার নাই যে সেখানে দেশে মুরগি পালন করে না। দেশি মুরগি পালন করা অনেক সুবিধা জনক এবং দেশি মুরগি পালন করে পরিবারে তাদের ডিম ও মাংস খাওয়া যায় এন দেশি মুরগির মাংস অনেক সুস্বাদু সেখানে মাংসের দেশি মুরগি পালন করে তারা এসে চাহিদাটা পূরণ হয়ে যায়। গ্রামাঞ্চলে দেশি মুরগি পালন করার সময় বাচ্চা ফোটানোর পরে যে রোগটা হয় সেজন্য তাদেরকে ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।

এটা গামবোরা লাইভ ভ্যাকসিন। ১১ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে যে ভ্যাকসিন টা দিতে হবে এন্ডি লাইভ ভ্যাকসিন,১৭ থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে ভ্যাকসিনটি দিতে হবে ২৩ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে যে ভ্যাকসিনটা দিতে হবে এনডি লাইভ ভ্যাকসিন এম্প্রোলিয়াম বা সিপ্রো ২৯তম ফাউল ফক্স ভ্যাকসিন, ৩৬ তম দিতে হবে কৃমিনাশক ওষুধ ৪৪ থেকে ৪৭ এর মধ্যে দিতে হবে রানীক্ষেত লাইভ ভ্যাকসিন, নিয়মিত ৫০ দিন প্রেটোবাইক বা ভিটামিন।লিভার নোটিক ওষুধ দিতে হবে।

আর এই ওষুধগুলো নিজের মতো করে দিলে হবে না সেটি ডাক্তারের পরামর্শ এনে দিতে হবে যাতে কখন কোন সময় কোন রোগের কোন অসুখ হলে সেটা প্রয়োগ করতে হবে । আর সেটা দিলে মুরগির রোগবালা থেকে দূরে থাকবে। সেগুলো নিয়মিত দিতে হবে এবং মুরগির ঘরটা সবসময় আলোকিত করে রাখতে হবে যাতে তারা তাদের রোগবালা থেকে মুক্ত পেতে পারে।

ইনকো মিটার বাচ্চা ফুটানো হয়।বাচ্চা ফুটানোর পরে বাচ্চা পালন পদ্ধতি সম্পর্কে বড় হয়েছে। বাচ্চা ফুটানোর পর বাচ্চাকে একটা নির্দিষ্ট জায়গা রেখে তাকে লাইটের নিচে রাখতে হবে যাতে সেখানে তারা তাপ পায় এবং এই দেশি মুরগির বাচ্চা ছোট থেকে অনেক রোগের মধ্যে আক্রান্ত হয়। আর এই রোগ থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য তাদেরকে প্রতিরোধ করার জন্য ছোট একদিনের বাচ্চা চোখের ড্রপ দিতে হবে।ড্রপ দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আরেক চোখে ড্রপ দিতে হবে।

যাতে করে তাদের রাগের সম্মুখীন না হয় সেজন্য এ তারে শরীরে যাতে রোগ মুক্ত হয় সে ব্যবস্থা করে নিতে হবে ।এ বাচ্চাকে পালন করা অনেক সহজ উপায়েএটা বাড়তি কোন কাজ করা লাগেনা না এবং এদেরপালন করতে জায়গার বেশি প্রয়োজন হয় না সেই জন্য তাদের পালন করা অনেক সুবিধা জনক বলে মনে করা হয় গ্রাম অঞ্চলের এই দেশি মুরগি পালন করে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।

আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব একশটি দেশি মুরগি পালন করে খরচ কেমন হয়।প্রথম অবস্থাতে তাদের খাদ্য লাগে এবং তাদেরকে ছোট একা জায়গাতে রাখলেই হবে একটা খামারের মাধ্যমে এবং এদের জন্য ১০থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। এখন এটি বড় হওয়ার সাথে সাথে ২২ হাজার টাকা মতো খরচ হয়ে থাকে১০০ টি মুরগি পালন করে ২২ হাজার টাকা খরচ হয় আরে বাইশ হাজার টাকা খরচের বিনিময়ে সে মুরগিগুলো যদি বিক্রি করা হয়।

 তাহলে ১০থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ হবে এতে করে আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে এবং যারা বেকার আছে তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা হয়ে থাকে কারণ কর্মসংস্থানের জন্য মানুষের কাছে হাত পাতা তো লাগবে না নিজের বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে অল্প পুজিতে বেশি লাভ করা যায় এবং মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে এতে পুষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে এনে বিভিন্ন রোগ থেকে তারা মুক্তি পেয়ে থাকে।

দেশি মুরগি পালন করার জন্য প্রশিক্ষণ নেয়ার প্রয়োজন হয় না তার পরেও যারা এ সম্পর্কে ধারণা নেয় তারা এই বইগুলো কিনে পরে জ্ঞান অর্জন করে। সেখান থেকে তাদের একটা ধারণা জন্ম নেই এবং তারা যাতে সহজে দেশি মুরগি পালন করার জন্য প্রস্তুত নাই কিভাবে ওষুধ সেবন করতে হবে কিভাবে তাদের খাদ্য দিতে হবে কিভাবে তাদের উপস্থিত ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।এবং কিভাবে তারা কি খায় সে সকল বিষয় এবং নিয়ে বইয়ের মধ্যে আলোচনা করে থাকে।

 যারা মনে করেন যে আমরা এই দেশি মুরগি পালন করব যাদের দেশী মুরগি সম্পর্কে সেরকম ধারণা নেই তারা একটা প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এত করে তার পদক্ষেপ নিতে সহজ হবে এবং সুন্দরভাবে এই মুরগি পালন করতে পারবে এতে তার সংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এবং পদে কি হিসেবে কাজ করতে হবে তাহলে খুব সহজেই মুরগি পালন করে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ করা যাবে এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজটি করলে ভালো হবে।

আমাদের গ্রামাঞ্চলে দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি অতি সহজ এবং সুন্দর ভাবে তারা দেশি মুরগি পালন করে দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি pdf থেকে তারাদের মধ্যে যে সকল চিন্তাভাবনা করে সে সকল বিষয় বলে নিয়ে তাদের একটা সহজ পদ্ধতিতে তারা দেশি মুরগি পালন করতে দেশি মুরগি পালন করে এখান থেকে অনেক ডিম ও মাংস উৎপাদন করে যারা মাংস উৎপাদন করার জন্য দেশি মুরগি পালন করে।মানুষ তাদের সকল বিষয় বলি সম্বন্ধে করে থাকে। 

তারা তিন মাসের মধ্যে এ মুরগি বাজারে বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করে এবং তাদের আর্থিকভাবে সচলতা বৃদ্ধি করে এবং যে মুরগিগুলো ডিম উৎপাদনের জন্য তাদের ভ্যাকসিন করে নিতে হবে। যাতে তাদের রোগবালা থেকে দূরে থাকে এবং ডিম উৎপাদনের জন্য তৈরি করা হবে আর এই সকল বিষয় বলি সকলের ধারণা থাকা উচিত এবং পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব আর এটা আমিষের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

আমাদের দেশের বিভিন্ন ধরনের মুরগি আছে এবং কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়ে থাকে ।দেশি মুরগি পালনে অনেক লাভ করা হয় করা হয় আমাদের দেশে তো বিভিন্ন ধরনের মুরগি পাওয়া যায় বয়লার মুরগি সোনালি মুরগি খাসি মুরগি। এসব মুরগি পালন করে কিন্তু এদের তুলনায় দেশি মুরগি পালন করা।অনেক সুবিধা এতে অনেক লাভবান হওয়া যায় ।তাদের জন্য বাড়তি খাওয়া-দাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এবং ঘাস লতাপাতা ইত্যাদি খায় এবং এগুলো খামারের খামারের মধ্যে যদি দেওয়া হয় তাহলে সেগুলো তারা খায় এবং তাদের পুষ্টির অভাব পূরণ করে। অন্য কোন মুরগি পালন করলে সেটা হয় না আর সেটা করার জন্য আমাদের দেশি মুরগি পালন করতে হবে দেশী মুরগী পালন করে। এটার চাহিদা অনেক বাজারে গিয়ে যদি বিক্রি করা হয় তাহলে সবাই অন্যান্য মুরগির চেয়ে বেশি মুরগির নেওয়ার ইচ্ছে হবে। আর এটা চাহিদা সবসময়ই থাকে। সেজন্য অন্যান্য দিয়ে তুলনা দেশি মুরগি পালন করবেন তাহলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

দেশি মুরগি পালন ও চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং যারা মনে করেন তাদের ছোট বাচ্চা খামারে তুলবেন তাহলে তাদেরকে প্রথম থেকেই ওষুধ সেবন করতে হবে যাতে ছোটবেলা থেকেই দেশি মুরগির অসুখ বিসুখ বেশি হয় তাই ছোট বাচ্চার এক সপ্তাহের মধ্যে চোখে ড্রপ দিতে হবে। যাতে এজমা রানীক্ষেত রোগ থেকে দূরে থাকে।

দেশি মুরগি পালনের জন্য বলা হয়ে রানীক্ষেত রোগ সবচাইতে।বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে কিন্তু প্রতিরোধ করার জন্য ডাক্তারের চিকিৎসা পরামর্শ নিতে হবে। যাতে এসব রোগ থেকে মুক্ত পেতে পারে তাই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে যাতে দেশী মুরগি পালন করে অনেক লাভবান হওয়া যায় আর এটা পালন করার জন্য প্রতিনিয়ত তাদের ওষুধ সেবন করতে হবে।

আসসালামু আলাইকুম আমি তাসফিয়ারানী আজকে খাজাই দেশী মুরগি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি এ তথ্যটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে শেয়ার করবেন তাদেরকে খাঁচার মুরগি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন আর আমার ওয়েবসাইটের নতুন নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত  ভিজিট করুন।